ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

আদানিদের থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে আনল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আদানিদের থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে আনল বাংলাদেশ

ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।  এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কমে যাওয়া। কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া নিয়ে মতবিরোধের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর আদানি পাওয়ার তাদের সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে, কারণ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে বিল পরিশোধে দেরি হয়। পরে, বাংলাদেশ জানায় যে তারা বর্তমানে অর্ধেক সরবরাহই চাইছে এবং আগের বকেয়া পরিশোধ করবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারপার্সন মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘তারা সরবরাহ কমিয়ে দিলে আমরা হতবাক ও ক্ষুব্ধ হই। এখন শীতকালীন চাহিদা কম, তাই তাদের জানানো হয়েছে যে উভয় ইউনিট চালানোর প্রয়োজন নেই।’

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের চুক্তির আওতায় আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের ২০০ কোটি ডলারের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশে আদানি পাওয়ারের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় মূল্য ১৪.৮৭ টাকা, যেখানে অন্য ভারতীয় সরবরাহকারীদের গড় মূল্য ৯.৫৭ টাকা। এই উচ্চমূল্যের কারণে বাংলাদেশকে প্রতি বছর ৩২০ বিলিয়ন টাকা বিদ্যুৎ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত আদানির প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ডলার এবং অক্টোবরে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

তবে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলছেন, কোম্পানি তাদের চুক্তির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশও তা পূরণ করবে বলে তারা আশাবাদী। আমরা বিপিডিবি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, শিগগির সব বকেয়া পরিশোধ করা হবে। মুখপাত্রের মতে, আদানি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, যেমনভাবে আদানি তাদের চুক্তির দায়বদ্ধতা বজায় রেখেছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, দাম বেশি হওয়ায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমরা চাই শুধু আদানির ক্ষেত্রে নয়, বিদ্যুতের দাম সামগ্রিকভাবেই গড় খুচরা মূল্যের নিচে নেমে আসুক। তবে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অব্যাহত থাকবে।

এমএম

×