ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিফুয়েলিং মেশিন প্রস্তুত

ডিসেম্বরে উৎপাদন

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২২:৪২, ২ আগস্ট ২০২৪

ডিসেম্বরে উৎপাদন

.

উষ্ণ আবহাওয়া আর দ্রুত শিল্পায়নের প্রভাবে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাচাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশে নির্মিত হয়েছে পর্যাপ্ত বিদ্যুকেন্দ্রওদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে স্থান পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটি

করোনা ভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা চড়াই-উরাই পার হয়ে অবশেষে উপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বিদ্যুকেন্দ্রটিডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এটির প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকাল বা পরশুর মধ্যেই শুরু হচ্ছে এ প্রকল্পে জ্বালানি লোডের প্রথম ধাপপ্রস্তুতি শেষ হয়েছে ডামি ফুয়েল লোডিংয়েরশেষ হয়েছে প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনের প্রস্তুতির কাজওরিঅ্যাক্টর কোরে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটিই সর্বশেষ ধাপএরপরেই উপাদনে যেতে পারবে এই ইউনিটটিনদী পারাপারের সামান্য কিছু কাজ ছাড়া প্রস্তুত সঞ্চালন লাইনওসব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের শুরুতেই কেন্দ্র থেকে বিদ্যু আসবে জাতীয় গ্রিডেএতে করে দেশের বিদ্যু খাতে বড় ধরনের সাফল্য আসবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা

গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এর প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং প্রস্তুতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছেইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুতরিঅ্যাক্টর কোর এ ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটি সর্বশেষ ধাপঅল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছেএতে আরও বলা হয়, রিঅ্যাক্টর কোর এ ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি লোড এবং কোর থেকে ব্যবহৃত জ্বালানি বের করে আনার জন্য ব্যবহৃত হয় নিউক্লিয়ার রিফুয়েলিং মেশিন৬০ টন ওজনের মেশিনটি ফুয়েল পুল ও রিঅ্যাক্টর পিটের ওপরে অবস্থিতএটির যান্ত্রিক অংশে রয়েছে ব্রিজ, ট্রলি এবং সার্ভিস এরিয়াএছাড়াও এই মেশিনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি কন্ট্রোল এবং একটি মনিটরিং সিস্টেমযার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে পারমাণবিক জ্বালানির ফুয়েলিং/ রিফুয়েলিং ও ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা হয়

এসব বিষয় নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, যেকোনো পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রে ইউরেনিয়াম (জ্বালানি) ফুয়েল রিঅ্যাক্টর স্থাপনের আগে কয়েক ধাপে ডামি ফুয়েল দিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে হয়এসব বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি শেষআশা করছি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ডামি ফুয়েল দিয়ে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবেএটি ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে বা তার আগে ফ্রেশ ইউরেনিয়াম লোড করা হবেসব ঠিকঠাক থাকলে আশা করছি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই প্রথম ইউনিটটি উপাদনে যেতে পারবেআর উপাদন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাউপস্থিত থাকবেন রোসাটমের মহাপরিচালকওএর আগে আপনারা জানেন এই কেন্দ্রের রিয়েক্টর ভ্যাসেল যখন বসছিল তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেনপাদন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও রসাটমের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন বলে আমরা আশা করছি

কিন্তু চলতি বছরের শেষেই উপাদনে আসার কথা থাকলেও জাতীয় গ্রিডে আনার জন্য সঞ্চালন লাইন তৈরি নিয়ে শংকা ছিল এতদিনতবে এই শংকাও কাটছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি)স্থলভাগের প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছেরিভারক্রসিংয়ের কাজও এগিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবেপিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম  গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিকিন্তু নানা সময় নানাভাবে আমাদের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছেআমাদের স্থলভাগের কাজ তো ৯৯ ভাগই শেষচ্যালেঞ্জ রিভারক্রসিং নিয়েরিভারক্রসিংয়ের কাজও চলছে পূর্ণোদ্যমেসাম্প্রতিক দেশব্যাপী যে সংকট তৈরি হয়েছিল এতেও আমাদের কাজে বিঘ্ন হয়তবে আমাদের নদীর ওপর টাওয়ার বসানোর কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষসব মিলিয়ে রিভারক্রসিংয়ের ৩৮ শতাংশ  কাজ শেষ হয়েছে ২ আগস্ট শুক্রবার পর্যন্তডিসেম্বরের আগেই পুরোটা লাইন প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা করছি

পিজিসিবি জানিয়েছে, রূপপুর পারমণাবিক বিদ্যুকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ সাতটি প্যাকেজের মাধ্যমে চলছেএর মধ্যে রূপপুর থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ৬৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতভাগআমিনবাজার থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশিরূপপুর থেকে ঢাকা (আমিনবাজার-কালিয়াকৈর) ১৪৭ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশএ ছাড়া গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৭০ শতাংশের মতো, ধামরাই পর্যন্ত ১৪৫ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের কিছু বেশি, বগুড়া পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের মতো এবং ৯টি বে এক্সটেনশন নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশের ওপরেসব মিলিয়ে স্থলভাগের প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, এখন ছোট ছোট কিছু কাজ বাকি রয়েছেএর মধ্যে ৩টি টাওয়ার নির্মাণ হচ্ছেটাঙ্গাইল এবং ভেড়ামারার কাজ চলছেবাকিটাও শেষ হয়ে যাবেআর কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি

পাবনার রূপপুরে দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটিতে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের কাজরাশিয়ার অর্থায়নে কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানেডিসেম্বরেই পরীক্ষামূলক উপাদন শুরুর পর আগামী বছর এই প্রকল্প থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে বিদ্যুপাদনএতে করে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যু চাহিদা অনেকটাই মিটবেএর দ্বিতীয় ইউনিটটি উপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যু প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যু উন্নয়ন বোর্ড থেকে  নেওয়া হবেপ্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যু সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছেএর প্রথম অংশের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছেঅক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবেচূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উপাদনে যাওয়ার আগে ডিসেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলক চক্রবর্তী জনকণ্ঠকে বলেন, রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি (+) ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে এখানেএর জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়াগত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশবিদ্যুকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়াপ্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেনপরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন

দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটির নির্মাণকাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কথা থাকলেও কোভিড, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনীহাসহ নানা কারণে এ প্রকল্পের গতি ধীর হয়েছেতবে বর্তমানে তবে সব জটিলতা কাটিয়ে এখন পুরোদমে চলছে সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজএতে করে নির্ধারিত সময়েই কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যু জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করে বিদ্যু, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জনকণ্ঠকে বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রূপপুরের সঞ্চালন লাইনের কাজ পিছিয়ে গিয়েছিলতবে আবার কাজ চলছে পূর্ণোদ্যমেইতোমধ্যে স্থলভাগের কাজ শেষের দিকেনদী পারাপারের কাজও নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বলে আমরা আশা করছিআমাদের লক্ষ্য কেন্দ্রটি উপাদনে গেলেও যেন সঞ্চালন লাইনের কারণে বসে না থাকেযেমনটি হয়েছিল পায়রায়যদিও নদী পারাপারের কাজটি চ্যালেঞ্জিংতবু আমাদের কর্মীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে

চলতি বছরের ডিসেম্বরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুপাদন শুরু হবে জানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানও বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় থাকলেও এটির কাজ দ্রুত শেষ করতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়বিদ্যু, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উইং বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্মাণ কাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ও তদারকি করছেএর আগে সঞ্চালন লাইন তৈরি করতে না পারায় প্রায় দেড় বছর বসিয়ে রাখতে হয় পায়রা তাপ বিদ্যুকেন্দ্রকেজরিমানা গুনতে হয় মাসে মাসেএকই শঙ্কা ছিল রূপপুর বিদ্যুকেন্দ্রটি নিয়েওতবে এখন আর শঙ্কা নেই জানিয়ে ইয়াফেস ওসমান বলেন, কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনকতবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে সিংহভাগ অর্থায়ন দিয়েছে রাশিয়া১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন রয়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকাএ প্রকল্পের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটের সক্ষমতা মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটচলতি বছরে প্রথম ইউনিট উপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যুকেন্দ্রের কাজ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে রূপপুর প্রকল্পের মূল পর্যায়ের কাজ শুরু হয়পরবর্তী বছর ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করা হয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি ইউনিটেরই কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন

পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ইউনিটের উপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিলশিডিউল অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর প্রথম ইউনিট আর ২০২৫ সালের ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় ইউনিটের চূড়ান্ত হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলকিন্তু শিডিউল অনুযায়ী কাজ এগুতে না পারায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিটের উপাদন শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প কর্মকর্তারা

এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারদ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়াএ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসাটম প্রধানের প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছেএখন চলছে প্রাথমিক নিরীক্ষা-সমীক্ষার কাজ

×