.
উষ্ণ আবহাওয়া আর দ্রুত শিল্পায়নের প্রভাবে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশে নির্মিত হয়েছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রও। দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে স্থান পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
করোনা ভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে অবশেষে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এটির প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাল বা পরশুর মধ্যেই শুরু হচ্ছে এ প্রকল্পে জ্বালানি লোডের প্রথম ধাপ। প্রস্তুতি শেষ হয়েছে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের। শেষ হয়েছে প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনের প্রস্তুতির কাজও। রিঅ্যাক্টর কোরে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটিই সর্বশেষ ধাপ। এরপরেই উৎপাদনে যেতে পারবে এই ইউনিটটি। নদী পারাপারের সামান্য কিছু কাজ ছাড়া প্রস্তুত সঞ্চালন লাইনও। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের শুরুতেই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসবে জাতীয় গ্রিডে। এতে করে দেশের বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের সাফল্য আসবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এর প্রথম ইউনিটে ডামি ফুয়েল লোডিং প্রস্তুতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ইউনিটের রিঅ্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। রিঅ্যাক্টর কোর এ ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটি সর্বশেষ ধাপ। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, রিঅ্যাক্টর কোর এ ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি লোড এবং কোর থেকে ব্যবহৃত জ্বালানি বের করে আনার জন্য ব্যবহৃত হয় নিউক্লিয়ার রিফুয়েলিং মেশিন। ৬০ টন ওজনের মেশিনটি ফুয়েল পুল ও রিঅ্যাক্টর পিটের ওপরে অবস্থিত। এটির যান্ত্রিক অংশে রয়েছে ব্রিজ, ট্রলি এবং সার্ভিস এরিয়া। এছাড়াও এই মেশিনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি কন্ট্রোল এবং একটি মনিটরিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে পারমাণবিক জ্বালানির ফুয়েলিং/ রিফুয়েলিং ও ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করা হয়।
এসব বিষয় নিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, যেকোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউরেনিয়াম (জ্বালানি) ফুয়েল রিঅ্যাক্টর স্থাপনের আগে কয়েক ধাপে ডামি ফুয়েল দিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে হয়। এসব বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ডামি ফুয়েল দিয়ে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। এটি ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে বা তার আগে ফ্রেশ ইউরেনিয়াম লোড করা হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে আশা করছি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনে যেতে পারবে। আর উৎপাদন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপস্থিত থাকবেন রোসাটমের মহাপরিচালকও। এর আগে আপনারা জানেন এই কেন্দ্রের রিয়েক্টর ভ্যাসেল যখন বসছিল তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও রসাটমের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন বলে আমরা আশা করছি।
কিন্তু চলতি বছরের শেষেই উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও জাতীয় গ্রিডে আনার জন্য সঞ্চালন লাইন তৈরি নিয়ে শংকা ছিল এতদিন। তবে এই শংকাও কাটছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি)। স্থলভাগের প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। রিভারক্রসিংয়ের কাজও এগিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু নানা সময় নানাভাবে আমাদের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমাদের স্থলভাগের কাজ তো ৯৯ ভাগই শেষ। চ্যালেঞ্জ রিভারক্রসিং নিয়ে। রিভারক্রসিংয়ের কাজও চলছে পূর্ণোদ্যমে। সাম্প্রতিক দেশব্যাপী যে সংকট তৈরি হয়েছিল এতেও আমাদের কাজে বিঘ্ন হয়। তবে আমাদের নদীর ওপর টাওয়ার বসানোর কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। সব মিলিয়ে রিভারক্রসিংয়ের ৩৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ২ আগস্ট শুক্রবার পর্যন্ত। ডিসেম্বরের আগেই পুরোটা লাইন প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
পিজিসিবি জানিয়েছে, রূপপুর পারমণাবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ সাতটি প্যাকেজের মাধ্যমে চলছে। এর মধ্যে রূপপুর থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ৬৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতভাগ। আমিনবাজার থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি। রূপপুর থেকে ঢাকা (আমিনবাজার-কালিয়াকৈর) ১৪৭ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৭০ শতাংশের মতো, ধামরাই পর্যন্ত ১৪৫ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের কিছু বেশি, বগুড়া পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের মতো এবং ৯টি বে এক্সটেনশন নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশের ওপরে। সব মিলিয়ে স্থলভাগের প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, এখন ছোট ছোট কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি টাওয়ার নির্মাণ হচ্ছে। টাঙ্গাইল এবং ভেড়ামারার কাজ চলছে। বাকিটাও শেষ হয়ে যাবে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
পাবনার রূপপুরে দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটিতে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের কাজ। রাশিয়ার অর্থায়নে কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। ডিসেম্বরেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর পর আগামী বছর এই প্রকল্প থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এতে করে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা অনেকটাই মিটবে। এর দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেওয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে। চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে ডিসেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলক চক্রবর্তী জনকণ্ঠকে বলেন, রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি (+) ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে এখানে। এর জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কথা থাকলেও কোভিড, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনীহাসহ নানা কারণে এ প্রকল্পের গতি ধীর হয়েছে। তবে বর্তমানে তবে সব জটিলতা কাটিয়ে এখন পুরোদমে চলছে সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ। এতে করে নির্ধারিত সময়েই কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জনকণ্ঠকে বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রূপপুরের সঞ্চালন লাইনের কাজ পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে আবার কাজ চলছে পূর্ণোদ্যমে। ইতোমধ্যে স্থলভাগের কাজ শেষের দিকে। নদী পারাপারের কাজও নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি। আমাদের লক্ষ্য কেন্দ্রটি উৎপাদনে গেলেও যেন সঞ্চালন লাইনের কারণে বসে না থাকে। যেমনটি হয়েছিল পায়রায়। যদিও নদী পারাপারের কাজটি চ্যালেঞ্জিং। তবু আমাদের কর্মীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে জানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানও বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় থাকলেও এটির কাজ দ্রুত শেষ করতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উইং বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্মাণ কাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ও তদারকি করছে। এর আগে সঞ্চালন লাইন তৈরি করতে না পারায় প্রায় দেড় বছর বসিয়ে রাখতে হয় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে। জরিমানা গুনতে হয় মাসে মাসে। একই শঙ্কা ছিল রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়েও। তবে এখন আর শঙ্কা নেই জানিয়ে ইয়াফেস ওসমান বলেন, কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে সিংহভাগ অর্থায়ন দিয়েছে রাশিয়া। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন রয়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটের সক্ষমতা মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। চলতি বছরে প্রথম ইউনিট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে রূপপুর প্রকল্পের মূল পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। পরবর্তী বছর ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি ইউনিটেরই কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন।
পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। শিডিউল অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর প্রথম ইউনিট আর ২০২৫ সালের ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় ইউনিটের চূড়ান্ত হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিডিউল অনুযায়ী কাজ এগুতে না পারায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রকল্প কর্মকর্তারা।
এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসাটম প্রধানের প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। এখন চলছে প্রাথমিক নিরীক্ষা-সমীক্ষার কাজ।