
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে একটি বিবৃতি কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ওয়ালে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন, কন্ট্রোলার ভবন, উপাচার্য ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়াও আজ বিকেল ৩টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের কোয়ার্টার ত্যাগ করার জন্য বলা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বলবত থাকবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল শাবিপ্রবিতে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলো।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন ড. জাফর ইকবাল। ওই নিবন্ধের একটি অংশ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। ‘সাদাসিধে কথা’ নামে নিজের একটি ওয়েবসাইটে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দুই প্যারায় ছোট্ট ওই মতামত লেখেন জাফর ইকবাল। সঙ্গে হাতে লেখা চিরকুটও সেখানে আপলোড করা হয়েছে।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল ওই চিরকুটে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয় আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইবো না। ছাত্র-ছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই রাজাকার। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন। সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?’
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, চিরকুটটি তারই লেখা। ওয়েবসাইটের সাদাসিধে কথা আর্কাইভে পাওয়া যাবে। আর এই চিরকুটের বক্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত মতামত।
এম হাসান