ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১

অশান্ত বিশ্বে শান্তির কপোত উড়াতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৩ মে ২০২৪

অশান্ত বিশ্বে শান্তির কপোত উড়াতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

আলোচনা সভা।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির অন্বেষণ ও সমন্বয়কারী। অশান্ত বিশ্বে তিনি শান্তির কপোত উড়াতে চেয়েছিলেন।’ 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আয়োজনে 'শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু আগেই বলেছেন ক্ষুধা নিরসন ছাড়া বিশ্বে শান্তি আসবে না। প্রথমে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। আর এই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজে দাঙ্গা দমন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর জুলি ও কুরি পদকে ভূষিত হয়েছেন।
 
নাসের চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক নেতারা আজ এসডিজি গোল বাস্তবায়নে প্ল্যানেট (পৃথিবী), পিপল (জনগণ) ও পিস (শান্তি) এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধুর শান্তি প্রতিষ্ঠার দর্শন এখনো প্রাসঙ্গিক। আমি মনে করি, এই দর্শনই হবে তরুণ প্রজন্মের আগামী দিনের পথচলা শক্তি।

বঙ্গবন্ধু সবাইকে একই সমতলে রেখে দেশের উন্নয়ন করতে চেয়েছেন। ফিনিক্স পাখির মত দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন।
 
সভার সভাপতিত্বে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেসহ পুঁজিবাদী দেশগুলো আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। বঙ্গবন্ধু শান্তির যে কথাগুলো বলে গেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখন তা বাস্তবায়ন করছেন।

আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, যুদ্ধ হত্যা করে। তবে যুদ্ধের পর যদি ইতিহাস চর্চা না করাও হত্যার সামিল। তরুণরা যখন বলে, তোমরা কি মুক্তিযুদ্ধ করলে? বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে পারলে না। তাহলে আমরা কী শিক্ষা দেব, আর কী শিক্ষা নেব?

বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবেই দেশ স্বাধীন করেছেন। যুদ্ধে যে ক্ষতি হয়, তা থেকে তিনি বিরত থাকতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং বাঙালি যখন আক্রমনের শিকার হয়, তখন তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দেন।

 

এসআর

×