পাটপণ্যের উৎপাদনে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে আরও বৈচিত্র্যতা আনতে হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী  এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘ক্রেতা আকৃষ্ট হয় এমন ডিজাইন উদ্ভাবন করতে হবে। পাট আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল কিন্তু আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত পণ্যে উপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন।’

সোমবার বিকেলে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) গোপাল চন্দ্র দাশসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পাট আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল কিন্তু আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।  জুটমিলের সাথে সম্পৃক্ত হাজার হাজার কর্মকর্তা, শ্রমিকরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গিয়েছিল। আদমজির মত জুটমিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।  পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। পাটের ব্যবহার বহুমুখী করে তৈরি করা হচ্ছে শাড়ী, জুতা, ব্যাগ, পর্দার কাপড়, বেড কভার ইত্যাদি। আমাদের বিজ্ঞানিরা পাটের জীবন রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কতদ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে আমরা লাভজনক করতে পারবো।’ 

মন্ত্রী বলেন, পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করা হবে। আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সফল হতে পারবো। আমি আপনাদের বলতে পারি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, আমি পাট শিল্পকে এবং বেসরকারী খাতের উদ্যোগ উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে। আপনাদের কর্মচাঞ্চল্যতা, মেধা মস্তিষ্কের সম্মিলনে পাটপণ্যকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একনম্বর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবো। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা। এ বার্তাটি বাস্তবায়নে আমরা প্রানান্তর চেষ্টা করবো। 

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। আমি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে। এ মেলায় আমার অংশগ্রহণের ফলে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি, এ মেলার অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।