ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কেজি ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ॥ কঠোর অভিযানে মাঠ প্রশাসন

পেঁয়াজ নিয়ে তুলকালাম

এম শাহজাহান

প্রকাশিত: ০০:০০, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

পেঁয়াজ নিয়ে তুলকালাম

ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার

ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে এক রাতের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ মানভেদে ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০০-১২০ টাকা দাম বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ নিয়ে এখন তুঘলকি কা- ঘটছে সারাদেশে! প্রতিনিয়ত বাড়ছে দাম। চট্টগ্রামের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জসহ ঢাকার কোনো কোনো বাজার থেকে রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে পেঁয়াজ।

এই পণ্যটির এমন দাম বাড়ায় সাধারণ ভোক্তারা নিরুপায় ও হতবিহ্বল হয়ে পড়ছেন। কোনো কোনো বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে ক্রেতারা আক্ষেপ নিয়ে বলছেন, ব্যবসায়ীরা দেশটাকে ‘মগের মুল্লুক’ বানিয়ে ফেলছে। তারা ইচ্ছেমতো পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সহজে পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না। 
এদিকে, পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিরসনে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কঠোর পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাব, জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কেউ পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটতে না পারে। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগে কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মজুতকৃত পেঁয়াজ দ্রুত বাজারে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।

অভিযোগ রয়েছে, এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হওয়ার পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীরাই দায়ী। ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুচরা থেকে অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী দোকান ও মোকাম থেকে পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলছেন। ফলে শনিবার বিকেলে অনেক দোকানেই পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো ব্যবসায়ী ক্রেতারা বেশি দাম দিলে পেঁয়াজ বের করে দিয়েছেন। 
এদিন সকালে বাজারে গিয়ে অনেক ক্রেতা পেঁয়াজের দাম শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। দাম নিয়ে কোনো কোনো ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার রীতিমতো ঝগড়া করতে দেখা গেছে। অনেক ক্রেতা পেঁয়াজ না কিনে ঘরে ফিরেছেন। প্রশাসনের দৃষ্টিতে এ বিষয়টি আসার পর বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাতে দাম কমেনি। পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকে সে বিষয়টিও নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এছাড়া ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরের সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, আগের আমদানি করা পেঁয়াজের মজুত রয়েছে দেশে। এছাড়া আমদানিতে ইতোমধ্যে যেসব এলসি করা হয়েছে সেইসব পেঁয়াজও আগের দামে আসবে।

ফলে রপ্তানি বন্ধের খবর পাওয়া মাত্র দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিতা নেই। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নজরে আসার পর সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেছে অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়েছে। দাম বেশি নেওয়া অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সবচেয়ে বড় বিষয় আমদানির বিকল্প বাজারের অনুসন্ধান করা এবং সেখান থেকে দ্রুত পেঁয়াজ দেশে নিয়ে আসা। ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু সুপারিশ করা হবে। 
জানা গেছে, ভারতের রপ্তানি বন্ধের পর দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থিরতার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। আজ রবিবার অফিস শুরুর প্রথম দিন মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলের সঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে পেঁয়াজের দাম কমানোসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু কৌশল নির্ধারণ করা হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র দাবি করেছে, পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি (ইম্পোর্ট পারমিট বা আমদানি অনুমতি) দিয়ে থাকে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর আগে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।

এখনো কৃষি মন্ত্রণালয় আইপি উন্মুক্ত রেখেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁয়াজের আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হতে পারে। ব্যবসায়ীরা যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, পেঁয়াজ আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানানো হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত যাতে এই পণ্যটি আমদানিতে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হন সেদিক বিবেচনায় নিয়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত। 
এছাড়া আগামী মার্চ মাস থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। ওই সময় দেশে অতিরিক্ত প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টনের বাড়তি পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, কৃষিপণ্য আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া আছে। ব্যবসায়ীরা যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আলু ও ডিমের মতো পণ্য আমদানি করতে পারবেন। এ বিষয়ে সরকার সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি জানান, ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের আরও অন্তত নয় থেকে দশটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ রয়েছে। তবে এটা ঠিক নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম দ্রুতই কমবে বলে ওই সময় তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন। 
রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ ॥ ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় মাত্র এক রাতের ব্যবধানে দেশে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেক ক্রেতা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সামনে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ মান ও জাতভেদে ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার সেই পেঁয়াজ ২৪০-২৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। কোনো কোনো বাজারে দাম আরও বেশি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজার, ফকিরাপুল বাজার, শ্যামবাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়া পাইকারি দোকান থেকে পাওয়া একাধিক খুচরা বিক্রেতার রসিদ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, শ্যামবাজার থেকে শনিবার সকালে কেনা দেশী পেঁয়াজের দাম ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ১৭৫-১৯৫ টাকা পর্যন্ত আর আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারিতে কিনতে হয়েছে ১৫৫-১৮০ টাকা পর্যন্ত। কোনো কোনো খুচরা বিক্রেতা এটাও জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারের যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা পণ্য কেনেন, তারা অনেক সময় মাল দেওয়ার জন্য ফোন দিতেন। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে এসব পাইকারি ব্যবসায়ীর ফোন বন্ধ পাচ্ছেন। ফলে অনেক খুচরা দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।
কাপ্তানবাজারের বিক্রেতা ও জামসেদ স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল গনি বলেন, প্রতিদিন সকালে শ্যামবাজার থেকে পাইকারিতে মালামাল নিয়ে আসি। এরপর কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। কিন্তু শনিবার সকালে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে নিজেও রীতিমতো অবাক হয়েছি। দাম এতটা বাড়বে, তা আমার নিজেরও ধারণার বাইরে ছিল। মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধের এ খবরেই দাম বেড়েছে। ওই বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনছিলেন বনগ্রামের বাসিন্দা আসলাম আলী। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে জনকণ্ঠকে বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশটাকে মগের মুল্লুক বানিয়ে ফেলছে। যেভাবে খুশি পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে।

একদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে পেঁয়াজ। যারা অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তাদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শনিবার বিকেলে শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী স্মৃতি বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, শ্যামবাজারে পাইকারিতে দেশী পেঁয়াজের মণ এখন ৮ হাজার ৮০০ টাকা। যা প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়ে ২২০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের মণ ৭ হাজার ৬০০ টাকা। আর প্রতিকেজির দাম পড়ে ১৯০ টাকা। মূলত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণায় এ দাম বেড়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। 
উল্লেখ্য, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার জারি করা এ আদেশ শুক্রবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যারা পেঁয়াজ আমদানির এলসি চালু করেছেন, তাদের মধ্যে যারা আদেশ জারির আগেই পণ্য জাহাজিকরণ শুরু করেছেন, তারা এর আওতামুক্ত থাকবেন। এছাড়া শিপিং বিল দপ্তরে জমা দিলে এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজ বন্দরে ভিড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের চালান অনুমোদন করতে পারবে।

পেঁয়াজের চালান এই আদেশ জারির আগেই যদি ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং পণ্য বন্দরে ঢুকে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস দপ্তরের ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যায়, তখনো রপ্তানির সুযোগ থাকবে। বন্দরের এসব প্রক্রিয়ার সুবিধা বহাল থাকবে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিরূপ আবহাওয়ায় ফলন ভালো না হওয়ায় এ বছর ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে। সে কারণে গত আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করে ভারত।
খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে পেঁয়াজ উধাও ॥ স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ঘটনার পর দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকাররা। শনিবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ২শ’ থেকে ২২০ টাকায়। তবে কয়েকটি মোকামে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও বেশিরভাগ আড়ত ছিল ফাঁকা। গলাকাটা দামে বিক্রির জন্য পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চট্টগ্রামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নেমে ৫ প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এদিকে দুপুরের পর র‌্যাব এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনও পৃথকভাবে পেঁয়াজের বাজারে অভিযানে নামে।
এদিকে খাতুনগঞ্জের আড়তদারেরা জানিয়েছে, আমদানিকারকেরা সরবরাহ সংকট তৈরি করেছে। যার ফলে বাজারে পেঁয়াজ নেই। এছাড়া মাগুরা থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার সব খানে অস্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, এক রাতের ব্যবধানে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। দাম বেশি নেওয়ায় ভোক্তা অধিদপ্তর জেলার দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে।
মুড়িকাটা পেঁয়াজে ভরপুর পাবনার হাটগুলো ॥ দেশের সর্বত্র পেঁয়াজ নিয়ে যখন নৈরাজ্য চলছে তখন দেশের পাবনার হাটগুলো ভরে উঠছে মুড়িকাটা পেঁয়াজে। অনেকে দাম বেশি পাওয়ার আশায় আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলছেন খেত থেকে। হাটগুলোতে সেসব পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। 
নয় দেশ থেকে আনা হবে পেঁয়াজ ॥ দাম কমাতে ভারতের পর এবার আরও নয়টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন যে দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো-চীন, মিসর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কয়েক মাস আগে চীন থেকে ২৪০০ টন, মিসর থেকে ৩৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার থেকে ১১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দাম কমে আসায় এতদিন এসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। এখন চড়াদামে বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমদানির তাগিদ দেওয়া হবে।

×