.
দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা বরগুনা। দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলা সাগর দুহিতা নামে পরিচিত। জেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত প্রমত্ত নদী পায়রা ও বিষখালী জেলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। এ জেলায় রয়েছে ছয়টি উপজেলা। সংসদীয় আসন দুটি। বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী নিয়ে গঠিত বরগুনা-১ আসন এবং পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলা নিয়ে গঠিত বরগুনা-২ আসন। ২০০৮ সালের পূর্বে এখানে সংসদীয় আসন ছিল তিনটি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে বরগুনা-৩ আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বরগুনা-২ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনের দক্ষিণের উপজেলা পাথরঘাটায় রয়েছে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র ও বিহঙ্গ দ্বীপ। এ জনপদের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি ও মৎস্য চাষ। সাগর নদীর মাছ এবং কৃষিপণ্যের মাধ্যমে এখানকার মানুষের জীবন ও জীবিকা আবর্তিত হয়। প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে ভরপুর এ অঞ্চল। এ এলাকার পর্যটন ও মৎস্য শিল্পের তেমন বিকাশ ঘটেনি। নির্বাচনের সময় নেতাদের কথার ফুলঝুড়ি আর আশার বাণী পরবর্তী সময় নিরাশায় পরিণত হয়।
১৯৭০ সালে এখান থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন দেশের অন্যতম খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য আছমত আলী সিকদার। এরপরে এ আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যায়। আসনটি চলে যায় জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বিএনপির দখলে। এ আসন থেকে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা নুরুল ইসলাম মনি ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে এখানে মিনার প্রতীক নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার হিরু এমপি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০০৮ সালে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করেন নৌকার প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রয়াত গোলাম সবুর টুলু। তিনি ২০১৩ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তবে বর্তমান সংসদ সদস্য নানা কারণে আলোচিত ও সমালোচিত। তিনি একজন সৎ সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর বাবা মরহুম খলিলুর রহমান বরগুনার স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। এ কারণে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধারা মহান স্বাধীনতা দিবসে তাঁকে পতাকা উত্তোলন করতে দেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন পাত্তা দেন না এবং বেশ ক’জন নেতাকর্মী তাঁর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। রেহাই পাননি সরকারি কর্মচারীরাও।
সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনির সময়ে যে উন্নয়নের সূচনা হয়েছিল বর্তমানে সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। এ আসনের তিন উপজেলার মানুষ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা সমীকরণ করছেন। আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রার্থী হবার জন্য ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
বরগুনা-২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) নির্বাচনী এলাকাটি কৃষিনির্ভর। শস্য ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর এই এলাকার মানুষ খুবই সাদাসিধে। কৃষি ও মৎস্য আহরণ তাদের উপার্জনের প্রধান উৎস। এখানে রয়েছে মিঠা পানির শুঁটকি পল্লি। এলাকাটি কৃষিনির্ভর হলেও এ আসনের ভোটাররা বরাবরই রাজনৈতিক সচেতন। গত ১০ বছরে এই নির্বাচনী এলাকার সার্বিক চিত্রও পাল্টে গেছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় এই নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাটসহ জীবনমানের ধরনও বদলে গেছে।
এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোতে মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। ইতোমধ্যে সারাদেশের ন্যায় এই নির্বাচনী এলাকাতেও বইছে ভোটের হাওয়া। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে- দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।
আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার এই আসন থেকে বিজয় লাভ করে। আগামী নির্বাচনেও এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করছে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপিও আসনটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আগামী নির্বাচনেও আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন উপ-নির্বাচনসহ তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে শক্ত অবস্থানে আছেন। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনিও এ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত হন। তাঁরও রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে এ দুজন প্রার্থী হলে নির্বাচনী মাঠ বেশ গরম হবে বলে মনে করেন এখানকার ভোটাররা।
এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন তিনি গত দশ বছরে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদী। এ ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগের রয়েছে একাধিক প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর স্ত্রী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর রশিদ, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন, সদ্য আওয়ামী লীগের সদস্যপদ প্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার হিরু। তারা মাঠেও আছেন, দলের হয়ে প্রতিটি সভা-সমাবেশ আয়োজনসহ সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন এ সকল প্রার্থী।
অপরদিকে, এ আসনে সুখে নেই বিএনপিও। তাদেরও রয়েছে একাধিক প্রার্থী। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি, বামনা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জাকির খান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। জাতীয় পার্টিসহ অন্য কয়েকটি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে।
এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় সভাপতিম-লীর সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আবদুস ছালাম, মাওলানা জাকারিয়া হামিদি, অধ্যাপক নাজমুল হুদা।
সচেতন ভোটারদের মতে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপিরই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। পরপর তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য জনকল্যাণে কাজ করেছেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ নানান উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা, এত উন্নয়ন করায় জনগণ নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। অতিথি পাখির মতো অনেকের আনাগোনা বাড়লেও জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
মনোনয়নের ব্যাপারে এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বিগত নির্বাচনে দল তাঁকে মনোনয়ন দেবার পর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দলকে সুসংগঠিত করার কাজ করেছি। নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করেছি। আঞ্চলিক সড়ক, গ্রামীণ সড়ক, ব্রিজ, কালভার্টসহ অবকাঠামোগত অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। আমি আবারও মনোনয়ন পেলে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করব।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই আসনটির জনপ্রিয় সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত গোলাম সরোয়ার টুলুর পরিবারের প্রতি সদয় হয়ে তাঁর সহধর্মিণী সুলতানা নাদিরাকে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচিত করেন। এরপর থেকেই নিজেকে উক্ত আসনের খেদমতকারী হিসেবে বেছে নেন। তাঁর দুই কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি ফারজানা সবুর রুমকি ও ব্যারিস্টার হাসসানা তিয়াশাকে নিয়ে দলের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসছেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করাসহ তাদের সুখ-দুঃখে সবসময় পাশে রয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় জনগণ সুলতানা নাদিরা এমপির কর্মকা-ে বেশ খুশি। বর্তমানে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত। বামনা পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলার অসহায়দের মাঝে সহ¯্রাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসা ও দোকান উপহার দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তা ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অসচ্ছল ও অসুস্থতার খবর পেলেই তাদের সেবা ও সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি সর্বদা জনগণের খেদমতে নিয়োজিত রেখে এ আসনের বিভিন্ন শহর ও হাটবাজার এবং লোকালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্রমাগতই গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মহিলা সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা উক্ত আসনের বিভিন্ন লঞ্চঘাট মেরামত ও স্টেশনে যাত্রী ছাউনিসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনিও জনপ্রিয়তার দিকে রয়েছেন এক ধাপ এগিয়ে। বিভিন্ন চায়ের দোকান ও লোকালয়ে জনসাধারণের মুখে রয়েছে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা।
অপরদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বামনা উপজেলার কৃতী সন্তান সুভাষ চন্দ্র হাওলাদারকে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতাসহ নানা ধরনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। বামনা বেতাগী পাথরঘাটা উপজেলার সম্প্রতি বিভিন্ন মাহফিলের মঞ্চে নিজে উপস্থিত থেকে মাহফিলে আগত মেহমানদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যসহ কুশল বিনিময় করে মাহফিলে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং প্রতিটি ইউনিয়ন ও লোকালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেগা প্রকল্পসহ পদ্মা সেতু নির্মাণ ও শতভাগ ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়াসহ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করা ও যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই এমন মন্তব্য করে তরুণ ও যুব সমাজের মাঝে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে, তাকে নিয়েও আমজনতার মাঝে রয়েছে জল্পনা- কল্পনা।
অন্যদিকে, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এ আসনের তিনবারের এমপি নুরুল ইসলাম মনি বলেন, এমপি নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণে যে কাজ করেছি, তার সাক্ষী এ অঞ্চলের জনগণ। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছি। তাঁর দাবি, মনোনয়ন পেলে এ অঞ্চলের মানুষ তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হলে তিনি নির্বাচিত হবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর।
বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন বলেন, আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আগামী নির্বাচনে এই অঞ্চলের মানুষ আর আওয়ামী লীগে ভোট দেবে না। দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের বাইরে, দুর্নীতিতে এই নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে গেছে। ভোট দেবার সুযোগ পেলে ভোটাররা বুঝিয়ে দেবে তাদের ভোটের মূল্য কত।