ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

সরকার অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে

সংসদ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ৩১ মে ২০২৩

সরকার অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশনে

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সরকার দেশের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন  যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব, মূল্যস্ফীতি ও অস্থিরতা দেখা দেয় এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা মোকাবিলা করে আমাদের সরকার দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত করোনাপূর্ব উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। করোনার তীব্র সংকটের মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা ওই সময়ে সারা বিশ্বের মধ্যে ছিল অন্যতম সর্বোচ্চ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও বেড়ে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এ সময় অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরকারি ব্যয় যৌক্তিকীকরণ, সামাজিক সুরক্ষা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও কৃষিখাতে ভর্তুকি প্রদান, রপ্তানি প্রণোদনা, রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, মুদ্রানীতি ইত্যাদি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের লিখিত নিত্যপণ্যে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, সরকারের কার্যক্রমগুলোর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং নিরীহ মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে নিয়মিত সভা আয়োজন করা। এসব সভায় নিত্যপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, চাহিদা নিরূপণ, স্থানীয় উৎপাদন, মজুত পরিস্থিতি, আমদানির পরিমাণ ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।  
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বাধাসমূহ দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এলসি খোলার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখা (মার্জিন) বিষয়ক বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ব্যাংক-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। 
সংসদ নেতা আরও জানান, দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো কোনো পণ্যের মূল্য (যেমন-ভোজ্যতেল ও চিনি) সমন্বয় করা হয়ে থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে গঠিত বাজার মনিটরিং টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার নিয়মিত পরিদর্শন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য, মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং কোনোরূপ অস্বাভাবিক অবস্থা বা পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করে।  সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলায় গঠিত জেলা বা উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি মাসিক সভা করে থাকে। এসব টাস্কফোর্স কমিটি জেলা ও উপজেলার বাজারসমূহে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাজারে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ, মনোপলি, ওলিগোপলি অবস্থা, জোটবদ্ধতা অথবা কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত কার্যক্রম নেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে মামলা দায়েরসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নেওয়া হয়।  
তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য (সারাদেশে পরিবারপ্রতি ২ লিটার  সয়াবিন  তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি ছোলা এবং শুধু ঢাকা মহানগরীতে অতিরিক্ত ১ কেজি খেজুর) বিক্রয় কার্যক্রমের প্রথম পর্ব পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্ব ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান ছিল।  
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সুলভ মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ওএমএসের সংস্থান থাকলেও সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ৫ দশমিক ৫০ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌরসভা ও শহরাঞ্চলের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও ওএমএস কার্যক্রমকে বিস্তৃত করা হয়েছে।
সংসদ নেতা জানান, ওএমএস কর্মসূচিতে সারাদেশে সর্বমোট ২  হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪৮২টি কেন্দ্রে শুধু চাল, ৯৩৫টি কেন্দ্রে চাল ও আটা এবং দুটি কেন্দ্রে শুধু আটা বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে ওএমএস কার্যক্রমে দৈনিক মোট ২ হাজার ৮৩৫ টন চাল এবং ১ হাজার ৫০ টন আটা বিক্রয় করা হচ্ছে। এ সব বিক্রয় কেন্দ্রে ৩০ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু সর্বোচ্চ পাঁচকেজি করে চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে আটা সপ্তাহে ৫ দিন বিক্রি করা হচ্ছে। এতে পবিত্র রমজান মাসে চাল ও আটার বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে পারছে।  
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে সেপ্টেম্বর ২০২৩ এবং সব কাজ সম্পন্ন করে জুন ২০২৪ এ ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের রেল চলাচল চালু করা সম্ভব হবে।
সংরক্ষিত আসনের এমপি খ. মমতা লাভলীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৫৫ হাজার পরিবারকে ১৩৪ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
প্রতিটি আন্দোলনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি  ॥ নন্দিত চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠানকে শোক জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র জীবনে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা একে একে সব মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে ফেলছি। 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে সংসদ। এর আগে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আলোচনায় অংশ নেন। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন্দিত নায়ক ফারুককে স্মরণ করে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, তিনি এভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবিনি। আল্লাহ পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দিক।
সংসদ নেতা বলেন, কেবল রাজনীতি নয় আমাদের সাংস্কৃতিক জগতেও তার বিরাট অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনেরও বিরাট ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তার নাম মুছে ফেলা হচ্ছিল, বঙ্গবন্ধুর নাম নিতেই কেউ যখন সাহস পাচ্ছিলেন না- তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসা, স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রেও ফারুক বড় ভূমিকা রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় তার দাদি সায়েরা খাতুন ১৯৭৪ সালের ৩১ মে মৃত্যুবরণ করেছিলেন উল্লেখ করে তার প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিনে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছেও তার দাদির জন্য দোয়া কামনা করে বলেন, আমার দাদি জন্ম দিয়েছিলেন আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি এনে দিয়েছিলেন আমাদের স্বাধীনতা। দেশের অমূল্য সম্পদ বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়েছিলেন বলেই আজকে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি সংসদে আমরা এতসংখ্যক সংসদ সদস্য হারিয়েছি, যা অতীতে কখনো ঘটেনি। পরে আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, হাবীব হাসান, মেহের আফরোজ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এদিকে, সংসদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. কবীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, কথাশিল্পী সমরেশ মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করেছে সংসদ। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারের হতাহত, বাংলাদেশে আহত এবং দেশ বিদেশে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতে স্মরণে সংসদ শোক জানিয়েছে।

×