ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ইভ্যালির রাসেলের জামিন আদেশ এক সপ্তাহ মুলতবি

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১৫ মে ২০২৩

ইভ্যালির রাসেলের জামিন আদেশ এক সপ্তাহ মুলতবি

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জামিন আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার(মুলতবি) করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাসেলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহ নেওয়াজ, মো. আনিছুর রহমান।

গতকাল রবিবার মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জামিন শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গত ২ মার্চ আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম জুলফিকার হায়াত এ অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ওই দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার নথিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান অভিযোগকারী। ইভ্যালির অর্ডার দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি তা পাননি।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে গুলশান থানায় এক গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার আরেকটি আদালত।

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×