ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

পাসপোর্ট সেবা প্রার্থীদের বিড়ম্বনা রোধে বিশেষ কল সেন্টার

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০২, ৩১ মার্চ ২০২৩

পাসপোর্ট সেবা প্রার্থীদের  বিড়ম্বনা রোধে  বিশেষ কল  সেন্টার

.

পাসপোর্ট করতে গিয়ে নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়া সেবাপ্রার্থীদের জন্য বিশেষ কল  সেন্টার চালু করেছে ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) শুক্রবার সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা পাবেন সেবাপ্রার্থীরা। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আজ থেকে সেবাপ্রার্থীরা কল সেন্টারে ফোন করে পাসপোর্ট ভিসা সংক্রান্ত সব তথ্য পাবেন। বাংলাদেশের নাগরিকরা দেশ থেকে ১৬৪৪৫ এবং বিদেশ থেকে ০৯৬৬৬৭১৬৪৪৫ নম্বরে কল করে পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য পরামর্শ পাবেন।

এছাড়া বিদেশী নাগরিকরা একই নম্বরে কল করে ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পরামর্শ পাবেন। এ কল সেন্টারে সপ্তাহে সাত দিন এবং ২৪ ঘণ্টাব্যাপী পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্য সেবা পাওয়া যাবে। বিআরটিসি থেকে বরাদ্দকৃত নম্বরের মাধ্যমে ঢাকার কাওরানবাজারের বিডিবিএল ভবনে, প্রতি শিফটে ১৬ জন করে কল সেন্টারে এজেন্ট প্রতিনিধি কাজ করবেন। প্রতিদিন তিন শিফটে ৪৮ প্রতিনিধি ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করবেন। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সেবাপ্রার্থীরা পাসপোর্ট সম্পর্কিত সঠিক হালনাগাদ তথ্য বা নতুন কোনো আপডেট এলে কল করে জানতে পারবেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তর মনে করছে, এর ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে।

বিষয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, পাসপোর্টের সর্বশেষ তথ্য জানতে দেশের সব পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। বর্তমানে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সব নাগরিকের সেবা এক জায়গা থেকে দেওয়ার জন্য আলাদা কল সেন্টার চালু করা হলো। এর ফলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে চাপ কমবে এবং এক জায়গা থেকে সব সেবা মিলবে।

পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে -পাসপোর্ট, এমআরপি পাসপোর্ট এবং ভিসা সম্পর্কিত তথ্যসেবা পাওয়া যাবে।এ গুলো হচ্ছে- -পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা, -পাসপোর্ট ডেলিভারি সম্পর্কিত তথ্য, অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে সমাধান, আবেদন করতে না পারলে তা বুঝিয়ে দেওয়া,অভিযোগ জানাতে পারবে, কল সেন্টার থেকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। এমআরপি পাসপোর্টের অবস্থাও জানা যাবে।

পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বর থেকে সেবা নিতে ফি দিতে হবে না। শুধু যে ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলবেন সেই অপারেটর বা কোম্পানি প্রতি মিনিটে যে চার্জ কাটে সেটাই কেটে নেবে। সরাসরি কল ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, মেসেঞ্জারসহ সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমেও তথ্য পাওয়া যাবে।

×