
নিহত আবদুল্লাহ আল সোহান
আব্দুল্লাহ আল সোহান (২৮) নামের এক যুবক ঢাকার গোলাপবাগে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খুন হয়েছেন।
ওই যুবকের বাবার নাম মো. ইউনুস মিয়া। পটুয়াখালীর বাউফল সদর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি। তার বাবা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল সোহান প্রায় এক বছর আগে পৌরসভার একই ওয়ার্ডের মাসুমা সিদ্দিকা দোলা নামের (২৪) এক তরুণীকে বিয়ে করেন।
বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবারে গোপন ছিল। দোলা তার বাবা- মায়ের সঙ্গে ঢাকা থাকতো। আবদুল্লাহ আল সোহানও ঢাকার খিলগাঁও সি ব্লক আনসার ক্যাম্পে পিছনে ভাড়া বাসায় তার মা ও বোনসহ থাকতেন।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সোহান বাসা থেকে ইফতারি করে স্ত্রী দোলার সঙ্গে দেখা করার জন্য গোলাপ বাগে যান। এ সময় দোলার বাবা-মা বাসায় ছিল না।
দোলা জানায়, তাদের ভাড়াটে বাসার মালিক জামাল হোসেন তার স্বামীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাকে বাসা থেকে টেনে হিচড়ে মারতে মারতে নিচতলায় একটি রুমে নিয়ে যায়। দোলা এ সময় বাড়ির মালিকের কাছে তাদের বিয়ের কাবিননামাসহ কোর্ট ম্যারেজের কাগজপত্র উপাস্থাপন করলে বাড়ির মালিক তা অগ্রায্য করেছেন।
এক পর্যায়ে সোহান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
সোহান এক ভাই এক বোনের মধ্যে বড়। তিনি পড়াশুনার জন্য কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সোহান ঢাকায় পড়াশুনার পাশাপাশশি বিভিন্ন দোকানে হোলসেল পিঠার ব্যবসা করতো।
সোহানের শ্বাশুড়ি বিজলী বেগম জানান, তার মেয়ের সঙ্গে আব্দুল্লাহ আল সোহানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তা জানতেন। তবে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানতেন না। ঘটনার সময় তিনি নিউ মার্কেটে ছিলেন। বাসায় এসে বিষয়টি জানতে পারেন।
তিনি আরও জানান, তার বাসায় অপরিচিত কোন লোক আসলেও বাড়ির মালিকের উচিত ছিল তাকে জানানো। কিন্তু তিনি তা না করে ছেলেটিকে মারধর করেন।
নিহত সোহানের বাবা মো. ইউনুস মিয়া বলেন, পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাড়ির মালিকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসআর