ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী

অন্তত রমজান মাসে জনগণকে রেহাই দিন

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২১, ২৭ মার্চ ২০২৩

অন্তত রমজান মাসে জনগণকে রেহাই দিন

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

যে অবৈধ শক্তি জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল- তাদের কোন প্রেতাত্মা যেন আবার বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে না পারে, আবার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ এবং দেশের জনগণকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থেকে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিতবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। শুধু দেশের ভেতরে না, বাইরে গিয়ে নালিশ করা, কান্নাকাটি করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করে বিদেশ থেকে এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু বাংলার জনগণ এখন অনেক সজাগ, অনেক সচেতন। বিদেশীদের কাছে কাঁদলে তারা ক্ষমতায় বসাবে না। 

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা তো বিএনপির ওপর অত্যাচার করিই নাই। বিএনপি সরকার আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার করেছিল, বর্তমান সরকার সে পথে যায়নি। আওয়ামী লীগের ওপর যে পরিমাণ অত্যাচার হয়েছে, তার এক ভাগ করলেও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুর্নীতি মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, অর্থ পাচার, একদিনে ৫শ’ স্থানে বোমা হামলাকারী, গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি (তারেক রহমান) যদি কোনো দলের নেতা হয়, সেই দলের ওপর আস্থা-বিশ্বাস রাখে কিভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, অনেক আন্তর্জাতিক শক্তি আছে, দেশের এই ধারাবাহিক গণতন্ত্র তাদের পছন্দ  না। আর আমাদের কিছু আতেল আছে, তাদের তো (ধারাবাহিক গণতন্ত্র) পছন্দই না। তারা মনে করে, একটা অস্বাভাবিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের কদর বাড়ে। কারণ যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে, তাদের কিছু লোক, হাতের লাঠি লাগে বা খুঁটি লাগে। সেই লাঠি হতে পারছে না বলেই তাদের মনে খুব দুঃখ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি ও হুমায়ুন আহমেদ। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম। 
স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আট বছর; সব মিলিয়ে এই ২৯ বছরকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘কালো অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেই কালো মেঘ কেটে দেশের মানুষের জন্য আমরা একটা নতুন সূর্যের আলো নিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ, সেই পথেই এগিয়ে যাবে। এ সময় দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েই যেন তারা এগিয়ে চলে। কারও মিথ্যা কথায় যেন কেউ বিভ্রান্ত না হয়।
সমালোচনাকারী ওই ব্যক্তিদের ‘আতেল’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা সবসময় দেশে এবং বিদেশে বদনাম তো করবেই, আবার দেশের মধ্যেও আজেবাজে লিখে যাচ্ছে যে কিছুই নাকি হয়নি! কিন্তু বাংলাদেশের একেবারে তৃণমূল মানুষের কাছে যান, তাদের মধ্যে যে আস্থা ও বিশ্বাস আছে; সেটাই আমাদের ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশে স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। যে অবৈধ শক্তি ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কোনো প্রেতাত্মা যেন আবার দেশের মানুষের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে না পারে। আবার মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে তার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও দেশের জনগণকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থেকে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আবার সরকারে এসেছি। ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে, ধারাবাহিক উন্নতি হয়েছে বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। সারাবিশ্ব বলতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখান থেকে আর পিছে হাঁটবে না। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। 
পবিত্র রমজান মাসে জনজীবনের পবিত্রতা ও শান্তি উপেক্ষা করে বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীকে উন্নয়নের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আন্দোলনের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা বিএনপি) এই রমজান মাসেও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। অন্তত এই রমজান মাসে তো জনগণকে আন্দোলন থেকে নিস্তার দিন।
এ সময় দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে এই রমজান মাসেই বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে খালেদা জিয়া ১৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। যারা রমজান মাসে মানুষকে গুলি করে হত্যা করে, তারা রমজান মাসের প্রতি সম্মান দেখাবে কি করে? তাইতো তারা এই মাসে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাস ও মানুষের দুর্ভোগের প্রতি তাদের কোনো অনুভূতিই নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ইফতার পার্টি না করে- রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের জন্য তাদের মধ্যে এই অর্থ ও খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রতি সম্মান দেখাতে বাধ্য হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন না দেখা বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীর কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করতে বাধ্য হয়েছে। তার সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বিদেশীদের কাছে নালিশ করে, তাদের ওপরে নাকি খুব অত্যাচার করা হচ্ছে। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এর শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার,  সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার সামরিক অফিসার-সৈনিকসহ মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, গুলি করে হত্যা করেছে। পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের লাশ পর্যন্ত পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে। 
তিনি বলেন, জিয়ার আমলে ছিল সাদা মাইক্রোবাস, সেটিতে যে উঠেছে সে আর কোনদিন মায়ের কোলে ফিরে আসেনি। এইভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের অনেকের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এভাবে অগণিত মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে, কত নাম বলব? আমরা তো তাদের (বিএনপি) মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছি। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে তো কোনোদিন তারা মাঠেই নামতে দেয়নি। হাত কেটেছে, পা কেটেছে, চোখ তুলে নিয়েছে। পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

বাড়ি-ঘর দখল করে সেখানে রাতারাতি পুকুর কেটেছে। সারাবাংলাদেশে তারা তা-ব করে বেড়িয়েছে। এখন তারা আসে গণতন্ত্রের ছবক দিতে। তাদের ওপর নাকি অত্যাচার হয়! ওরা (বিএনপি) যা আমাদের সঙ্গে করেছে তার যদি এক ভাগও আমরা করি তাহলে ওদের তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা তো সে পথে যাইনি, আমরা তো আর প্রতিশোধ নিতে যাইনি। ওরা যে অন্যায়গুলো করেছে আমরা মানুষের জন্য সেই ন্যায় বিচারগুলো করেছি, ন্যয়ের কাজ করে যাচ্ছি। 
বিএনপির জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতা দখল করা। রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে গেছে। ক্ষমতা উচ্ছিষ্টভোগীদের নিয়ে দখল গঠন করার কালচার শুরু হয় বাংলাদেশে।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি এখন দেশে গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে তারা আবার গণতন্ত্র চায়! আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা নাকি গণতন্ত্র দেবে! গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে! 
’৭৫ সালের পর মানবাধিকার কোথায় ছিল প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়ে পার্লামেন্টে বসিয়েছে। জিয়াউর রহমান তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এরশাদ তাদের দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে দিয়েছে খুনি কর্নেল ফারুককে। দুই খুনি রশিদ ও হুদাকে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে তাদের সংসদে এনে বিরোধী দলের আসনে বসিয়েছে। তাদের বিচার করা যাবে না? আজ তারাও মানবাধিকারের কথা বলে! আমরা যারা ১৫ আগস্টে আপনজন হারিয়েছি, আমাদের কি মানবাধিকারের কোনো সুযোগ নাই? আমি বিচার চাইতে পারিনি বাবা-মা হত্যার। তারা আজ এতো কথা বলে কোথা থেকে? 
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ভেতর না, বাইরে গিয়ে নালিশ করা, কান্নাকাটি করা এটাই তাদের চরিত্র। জাতির যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসি তখন অনেকগুলো কাজ করে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে আমরা সরকারে আসতে পারিনি। কেন পারিনি? বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করতে যদি আমি রাজি হতাম; আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধাই হতো না। কিন্তু দেশের মাসুষের সম্পদ বেঁচে দিয়ে, আর দেশের মানুষের মুখ কালো করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় যাবে ওই রাজনীতি আমি করি না। 
এ সময় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলোও নাকি ওদের (বিরোধীদের) চোখে পড়ে না। জানি না মেট্রোরেলে চড়ে কি না? নিশ্চয়ই চড়ে! তার সুফল নিশ্চয়ই ভোগ করে। কিন্তু তারপরও বলবে, এটা কেন করা হল? আমার মনে আছে টেলিভিশনে একজনে খুব আলোচনা করছে, ৩৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল করে কি হবে? তিন হাজার কোটি টাকা হলেই তো যানজটমুক্ত করা যায়? তিন হাজার কোটি টাকার বাস কিনেরাস্তায় ছেঁড়ে দিলেই নাকি যানজট মুক্ত হবে? এই রাস্তায় আরও বাস দিলে যানজট মুক্ত হবে, নাকি আরও যানজট সৃষ্টি হবে?
তিনি বলেন, যেটাই ভালো করবেন কিছু লোকের কিছুই ভালো লাগে না- তার বিরুদ্ধে একটা কথা বলবেই। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কথা বলেছিল। দুর্নীতি করতে তো আমরা এখানে আসি নাই। সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশ পারে। ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও পারবে না।

×