ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

গণমাধ্যমের সব বিভাগে ৩০ শতাংশ নারী নিয়োগের দাবি

প্রকাশিত: ২০:২২, ২১ মার্চ ২০২৩

গণমাধ্যমের সব বিভাগে ৩০ শতাংশ নারী নিয়োগের দাবি

২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। দেশের গণমাধ্যমগুলোর সব বিভাগে অন্তত: ৩০ শতাংশ নারী কর্মী নিয়োগেরও দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সভায় বিএনএসকে’র সভাপতি সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থেই অত্যন্ত প্রয়োজন। উত্তরাধিকার আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে নারী পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সকল বিভাগে অন্তত: ৩০ ভাগ নারী কর্মী নিয়োগ করলে কিছুটা হলেও সমতা ফিরবে। এছাড়াও তিনি এসময় নারীদের অধিকার আদায়ে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। 

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ইউএনবি সম্পাদক ফরিদ হোসেন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, যুগ্ম সম্পাদক অদিতি রহমানসহ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের অন্যান্য নেতারা। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী শামা রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক মুনীমা সুলতানা।

এসময় মাহফুজ আনাম তার বক্তব্যে বলেন, নারী-পুরুষের সমতাহীন সমাজ কখনও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। এজন্য নারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সুযোগ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে নারীদের সাংবাদিকতার নতুন ধারা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নারীদের কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান তিনি। 

তবে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ কোটাভিত্তিক নয় বরং বাড়াতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে এ কথা উল্লেখ করে শ্যামল দত্ত বলেন, বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নারীদের সাংবাদিকতার ডিজিটাল প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। 
 

স্বপ্না

সম্পর্কিত বিষয়:

×