ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টাকার মেশিন ফুটপাথ ॥ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ২

চাঁদার ভাগ অনেকেই পান

ফজলুর রহমান

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

চাঁদার ভাগ অনেকেই পান

রাজধানীর নিউমার্কেট সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজটি হকারদের দখলে

রাজধানীর যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি ফুটপাথ দখলদারি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিউমার্কেট এবং আশপাশের এলাকা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে নিউমার্কেট-নীলক্ষেত জুড়ে। ব্যস্ত এই এলাকার ফুটপাথ দিয়ে হাঁটা মুশকিল। ভ্রাম্যমাণ হকার, নানা ধরনের জিনিসপত্র, ভাতের দোকানসহ হরেক রকমের দোকানের পসরা বসেছে ফুটপাথে। ফুটপাথ দখলের পর মূল সড়কেও ছোট ছোট পসরা সাজিয়ে বসছেন হকাররা।

রিক্সা, ভ্যান, লেগুনা স্ট্যান্ডের ফলে সড়ক দিয়েও হাঁটতে পারছেন না পথচারীরা। এই এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত হকার রয়েছেন ৭ হাজার ৬০০ জন। বাস্তবে এই সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। কয়েক মাস আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও হকারদের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ফুটপাথে হকারদের বসতে দেয়া হয়নি। বর্তমানে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বসেন হকাররা।

এতে ছোট ছোট পসরার ভ্রাম্যমাণ দোকানিকে ১০০ টাকা এবং টেবিল কিংবা চৌকি বসানো হকারদের ২০০ থেকে ৪০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। দোকান প্রতি গড়ে ২০০ টাকা করে চাঁদা তুললে ১০ হাজার হকারের কাছ থেকে দৈনিক প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এই চাঁদার ভাগ পান এলাকার প্রভাবশালী নেতা, লাইনম্যান, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশনের কতিপয় কর্মচারীসহ আরও অনেকে।
নিউমার্কেট ফুটপাথ থেকে দৈনিক কত টাকা চাঁদা তোলা হয়, কে কে চাঁদা তোলে, চাঁদার ভাগ কে কিভাবে পায়, তা জানতে অনুসন্ধান চালায় জনকণ্ঠ। হকার সেজে ওখানকার ফুটপাথে দোকান করেন এই প্রতিবেদক। এতে দৈনিক দুই বার (বিকেলে ও রাতে) লাইনম্যান, সংশ্লিষ্ট থানা, ট্রাফিক ও ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের সরাসরি চাঁদা নিতে দেখা গেছে।

চাঁদা নেয়ার এ রকম কয়েকটি স্থির ও ভিডিও চিত্র জনকণ্ঠের কাছে রয়েছে। যে সকল লাইনম্যানকে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে, পরে তাদের পরিচয় ধরে অনুসন্ধান চালানো হয়। অনুসন্ধানে ওই সকল লাইনম্যানের নাম, রাজনৈতিক পদবী এবং তাদের কাছ থেকে স্থানীয় নেতা, পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের চাঁদা নেয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
হকার সেজে দোকান করতে গিয়ে দেখা যায়, নীলক্ষেত তেঁতুলতলা থেকে চাঁদনী চক মার্কেটের গেট পর্যন্ত চাঁদা তোলে লাইনম্যান দুই ভাই। গাউছিয়া মার্কেটের সামনের দিক থেকে ইস্টার্ন মল্লিকা পর্যন্ত চাঁদা তোলে আরও একজন। ধানম-ি হকার্স মার্কেটের কর্নার থেকে সুবাস্তু এরোমা পর্যন্ত এবং ইস্টার্ন মল্লিকা থেকে বাটা সিগন্যাল পর্যন্ত চাঁদা তোলার দায়িত্ব আরও একজনের কাছে। এভাবে নীলক্ষেত পশ্চিম কর্নার থেকে নিউমার্কেটের ৪নং গেট পর্যন্ত দায়িত্ব আরেকজনের ওপর। ওই সারিতে শুক্রবারে ৩০০ আর অন্যদিন ২৫০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়।

এখানকার ৫০ জন হকারের কাছ থেকে তোলা চাঁদার ভাগ পায় নিউমার্কেট থানা ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। তিনি এই সারির সকল লাইনম্যানের সর্দার। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তাকে চাঁদার টাকা বুঝিয়ে দেয় লাইনম্যানরা। পরিচয় গোপন করে এক লাইনম্যানের সঙ্গে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় যান এই প্রতিবেদক। তখন এই ব্যক্তিকে ফুটপাথের চাঁদার টাকা বুঝিয়ে দিতে দেখা যায় ওই লাইনম্যানদের। তিনি অবশ্য এটি অস্বীকার করলেও এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে যথেষ্ট প্রমাণ।
নিউমার্কেট ৪নং গেটের সামনের জুতা পট্টি, ওখান থেকে বিশ্বাস বিল্ডার্স পর্যন্ত বসা ফলের দোকানের চাঁদা উঠানোর লোক আলাদা। এই চাঁদার ভাগ পায় থানা দলের অন্য এক নেতা। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত হকারদের কাছ থেকে তোলা চাঁদার ভাগ পায় ছাত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা। ওইসব নেতার হয়ে চাঁদা তোলে ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন কর্মী। এরা নীলক্ষেতের লেগুনা থেকেও চাঁদার ভাগ নেয়।
গাউছিয়া ফুটওভার ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রোজায় সেটি সিলগালা করে দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মচারী ও পুলিশকে ম্যানেজ করে ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজের দু’পাশে প্রায় ৪০টি পসরা বসানো হয়েছে। নিজেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত দাবি করে এই অবৈধ সুবিধা নেয় এই ব্রিজের চাঁদা তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এই ৪০টি দোকান থেকে দৈনিক ৬ হাজার টাকার মতো চাঁদা তোলা হয়।

এর মধ্যে অর্ধেক দেয়া হয় সংশ্লিষ্টদের। বাকি অর্ধেক পায় সে নিজে। নীলক্ষেত বই মার্কেটের সামনে দু’জন, রাফিন প্লাজার সামনে একজন, বলাকা মার্কেটে একজন, চন্দ্রিমা ও সুপার মার্কেটের জুতা পট্টিতে আরও একজন রয়েছে চাঁদার দায়িত্বে। নিউমার্কেট থানা সংলগ্ন পেছনের ওয়াসা গলির হকারদের কাছ থেকে আগে চাঁদা তুলতো হোটেলের এক কর্মচারী। সম্প্রতি তাকে বাদ দিয়ে আরেক জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে আবার পুলিশের সোর্স হিসেবেই কাজ করছে।
পুরো নিউমার্কেট এলাকা থেকে তোলা চাঁদার এক ভাগ পান বাংলাদেশ হকার্স লীগের নিউমার্কেট থানা শাখার এক কর্মকর্তা। সম্প্রতি চাঁদাবাজরা একটি বৈঠক করেছে। এতে চাঁদাবাজ নেতা ও লাইনম্যানরা উপস্থিত ছিল। বৈঠকে চাঁদাবাজি নিয়ে কাদের পক্ষ থেকে বাঁধা আসতে পারে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং তাদের মুখ বন্ধ রাখার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হকারদের সংঘর্ষের সময় যে সকল হকার মিডিয়ায় কথা বলেছেন, তাদের ফুটপাথে আর বসতে দেয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনটি জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে।
কয়েকজন লাইনম্যান প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করে। এই পুলিশ কর্মকর্তা এই এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন। কয়েকজন লাইনম্যানের সঙ্গে থানায় যায় এই প্রতিবেদক। তখন কক্ষের বাইরে থেকে লাইনম্যানের সঙ্গে এই কর্মকর্তাকে লেনদেন করতে দেখা যায়। কয়েকটি ফুটপাথ থেকে দৈনিক আর বাকিগুলো থেকে সাপ্তাহিক চুক্তি হিসেবে চাঁদার অংশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার সেই কর্মকর্তা তা অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে উল্লেখ করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এমন আরও কয়েক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও চাঁদার ভাগ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে নিউমার্কেটের হকারদের বহু খাতে চাঁদা দেয়ার চিত্র উঠে আসে। পূর্ব ধানম-ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে হকারদের ফুটপাথে বসা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করলে বা চাঁদাবাজদের ধরতে তৎপর হলে এর বিপরীত ভূমিকা পালন করে ট্রাফিক বিভাগ। আবার থানা পুলিশ হকারদের বসতে না দিলেও সেই সুযোগ করে দেয় ফাঁড়ি। হকার বসানো, চাঁদা নিয়ে থানা, ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে এক ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে।

চাঁদা দিয়েও এক ধরনের কোণঠাসার মধ্যে রয়েছেন এখানকার হকাররা। এ বিষয়ে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জয়নাল আবেদীন জনকণ্ঠকে বলেন, ট্রাফিকের কোন সদস্য ফুটপাথের চাঁদা নিয়ে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যাদের নাম উঠে আসবে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পার্কিংয়ের নামে চাঁদাবাজি ॥ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে পার্কিং ইজারা এনে পার্কিংয়ের নামে একচেটিয়া চাঁদাবাজি করছেন ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতা। মূলত নিউমার্কেটের পার্কিংয়ের ইজারা নিয়েছেন তিনি। পরে ৬ জনে মিলে ইজারা তোলার পার্টনার হন। সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত জায়গার বাহিরেও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

লেগুনা স্ট্যান্ড ও ফুটওভার ব্রিজ জুতা পট্টি পার্কিংয়ের নির্ধারিত জায়গা নয় দাবি করে একাধিক চালক ও জুতা দোকানি বলছেন, তারা ৩০ বছর ধরে এখানে দোকান করছেন। আগের কোন ইজারাদার এই জায়গাটি সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত পার্কিংয়ের জায়গা দাবি করেনি। গত দুই বছর ধরে পার্কিং এর জায়গা দাবি করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। তাদের হকার নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র ওঠে এসেছে এই অনুসন্ধানে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর অঞ্চল-১ এর এক কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে নানা ছুতায় হকার উচ্ছেদের নামে হয়রানি, চাঁদাবাজি ও মারধর করছেন। ওই কর্মকর্তা নিউমার্কেটের আশপাশেই থাকেন।

কোন হকার কিংবা লাইনম্যান চাঁদা দিতে রাজি না হলে ওই কর্মকর্তাকে দিয়ে নামকাওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় কর্মকর্তার সঙ্গে থাকেন চাঁদাবাজরা। অভিযানে উচ্ছেদের পর ওই সকল হকারদের একটি চাঁদা রেট দিয়ে দেয়া হয়। ওই রেটে চাঁদা দিতে রাজি হলে বিকেলেই ফুটপাথে বসার অনুমতি দেয়া হয়। এভাবে চাঁদাবাজ নেতা এবং ওই কর্মকর্তা নামকাওয়াস্তে অভিযানের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি পাকাপোক্ত করেন। একাধিক হকার অভিযোগ করেন, অভিযান ছাড়াও ওই কর্মকর্তা প্রায়ই এসে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। উচ্ছেদের সময় বয়স্ক হকাররা কর্মকর্তার পায়ে পর্যন্ত ধরেন। একমাত্র টাকা ছাড়া তার কাছে আর কোন সমাধান নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চাঁদাবাজ দাবি করেন, তিনি ১০ বছর ধরে নিউমার্কেটের পার্কিং ইজারা নিচ্ছেন। মার্কেটে তার অনেক বিরুদ্ধ দল রয়েছে। তারা তার বিরুদ্ধে সব সময় এমন মিথ্যা অভিযোগ করেন। সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই তিনি পার্কিং করছেন। তার সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তার টাকা-পয়সার লেনদেন নেই। ওই কর্মকর্তা অভিযানে আসলে তিনি উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন মাত্র।

তিনি পার্কিং বাবদ কোন হকার, লেগুনা চালকের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন না। লেগুনা স্ট্যান্ডটি তার ইজারা নেয়া জায়গার মধ্যে পড়েছে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ঘণ্টাপ্রতি ১০ টাকা করে নিতে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রথম ঘণ্টা ৩০ টাকা, এর পরের ঘণ্টা ৫০ টাকা নেয়া হয়- এমনটি বললে তিনি বলেন, পার্কিংয়ে থাকা ছেলেপেলে হয়ত মাঝেমধ্যে একটু বেশি নিতে পারে।
একজনের কথার সঙ্গে আরেকজনের মিল নেই। অন্য আরেক চাঁদাবাজ নেতা বলেন, লেগুনা স্ট্যান্ডটি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সীমানার বাহিরে। কাগজে-কলমে তার নামে ইজারা দেয়া হলেও পার্কিংয়ের বিষয়টি দেখেন আরেকজন। সিটি কর্পোরেশনের নিয়মের বাহিরে কিছু করে থাকলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।
নিউমার্কেট এলাকার চাঁদাবাজি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহীদুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, নিউমার্কেটের হকারদের কাছ থেকে কেউ চাঁদা নিয়ে থাকলে তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডের ফুটপাথে বসা হকারদের একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে অন্যান্য দেশের হকারদের মতো নতুন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ৩ ক্যাটাগরিতে যথাঃ লাল, হলুদ ও সবুজ ক্যাটাগরিতে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সড়কগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব সড়ক লাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেসব সড়কে কিংবা ফুটপাথে কোন হকার বসতে দেয়া হবে না। হলুদ চিহ্নিত সড়কে ফুটপাথের প্রশস্ততা অনুযায়ী আংশিক জায়গায় হকার বসতে দেয়া হবে। সেটা শুক্রবার বসবে। তবে ভিআইপি মুভমেন্টের সময় বসতে দেয়া হবে না। আর সবুজ চিহ্নিত সড়কে হকাররা সব সময়ই বসতে পারবে।
নিউমার্কেটের কিছু অংশও লাল এলাকার মধ্যে পড়েছে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ জনকণ্ঠকে জানান, ইতোমধ্যে আমরা তিন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। যাত্রাবাড়ী থানার সামনের সড়ক, গুলিস্তান জিপিও মোড়, আব্দুর গনি রোড, নিউমার্কেটের কিছু অংশসহ বেশ কয়েকটি সড়ক লাল চিহ্নিত এলাকায় পড়েছে। বছরব্যাপী এই অভিযান চলবে।

×