ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাশিয়ার কাছ থেকে পরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব পাই নি : নসরুল হামিদ

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৯:৩৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাশিয়ার কাছ থেকে পরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব পাই নি : নসরুল হামিদ

চুক্তিতে বিউবো’র পক্ষে পরিচালক (ক্রয় পরিদফতর) রুবিনা হক এবং কল সেন্টার স্থাপনকারী কোম্পানি ডিজিকন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ সই করেন।

নমূনা হিসেবে রাশিয়া থেকে আসা অপরিশোধিত তেল পরিশোধন সম্ভব নয় বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারী (ইআরএল) কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই দেশটি থেকে পরিশোধিত তেল আনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো। বিশেষ করে দেশটি থেকে ডিজেল আনার বিষয়ে প্রস্তাবনা পাওয়া গেছে এমন কথাও শোনা যায়। কিন্তু বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বললেন, তাদের কাছ থেকে পরিশোধিত তেল আনার কোনো প্রস্তাবনা পাওয়া যায় নি। আমরা কম দামে তেল আনতে চাচ্ছি যেকোনো উৎস থেকে। এক্ষেত্রে রাশিয়া যদি সহনীয় দামে পরিশোধিত তেল দেয় তাহলে আমরা বিবেচনা করবো।

রবিবার রাজধানীর বিদ্যুত ভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)’র কল সেন্টার স্থাপন চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সংকট বিশ্বজুড়েই। আমরা এর থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো উৎস থেকে কম দামে তেল-গ্যাস পেলে আমরা নেবো।

এর আগে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সব বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানির জন্য একটি কল সেন্টার করার নির্দেশনা দেন। তিনি এসময় বলেন, প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথক নম্বর থাকলে সেটি মনে রাখা কঠিন। এজন্য সব বিতরণ কোম্পানির জন্য একটি পৃথক নম্বর থাকলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এখন প্রত্যেকটা বিতরণ কোম্পানি যদি আলাদা আলাদা কল সেন্টার করে তাহলে মানুষ এতগুলো নম্বর মনে রাখতে পারবে না। আবার এমন একটি নম্বর হতে হবে যেটি সহজে সবাই মনে রাখতে পারে। এজন্য সবার জন্য যদি একটি কল সেন্টার থাকে তাহলে ভালো হয়।

এসময় বিউবো’র পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রাহক সেবার মান বাড়াতেই এই উদ্যোগ। চুক্তিতে বিউবো’র পক্ষে পরিচালক (ক্রয় পরিদফতর) রুবিনা হক এবং কল সেন্টার স্থাপনকারী কোম্পানি ডিজিকন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ সই করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, সারাবিশ্বের মতো আমরাও বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে কলসেন্টার করার পরিকল্পনা করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিতরণ কোম্পানিগুলো কল সেন্টার খুলতে শুরু করেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত দেয়া এবং সেবার মান বাড়াতে যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি তা এর মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাবে।

পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, চুক্তি সইয়ের তিন মাসের মধ্যে কল সেন্টার চালু করা হবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এটি চালু হবে। ২৪ ঘণ্টাই এটি চালু থাকবে। কেন্দ্রীয়ভাবে এই মনিটরিং করা হবে। ডিজিকন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ বলেছেন, এখন যে প্রযুক্তি এসেছে সেসব প্রযুক্তি পিডিবির কল সেন্টারে অ্যাপ্লাই করা হবে। সে হিসেবে পিডিবির কল সেন্টার হবে অত্যাধুনিক। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কল সেন্টারে মোট ২০৬টি স্মার্ট ফোন আছে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে এই সেন্টার চালু হবে এবং সার্বক্ষণিকভাবে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরিচালিত হবে।
পিডিবির যে কোনও গ্রাহক ১৬১৩১ নম্বরে কল করে মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট বিতরণ অঞ্চলে পৌঁছে যাবে। সাধারণত অন্য কল সেন্টারগুলোতে যেভাবে সেবা  দেয়া হয় এখানেও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মধ্যে বিদ্যুত সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

স্বপ্না

সম্পর্কিত বিষয়:

×