
প্রণব চন্দ্র রায়
১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাত ১০টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতারের শাহাবাগ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। সঙ্গে আরও তিনজন। রাত আড়াইটায় এক্সটার্নাল সার্ভিসের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর স্টুডিওর সমস্ত যন্ত্রপাতি বন্ধের কাজ তদারকি করে আমার কক্ষে গিয়ে শুয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক সাড়ে চারটা থেকে পৌনে পাঁচটার মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পাশের কক্ষে আমার সহকর্মী মোহাম্মদ আলী ঘুমিয়েছিলেন। তাকে ডেকে ঘুম ভাঙ্গালাম।
আলোচনা করে মোটামুটি দু’জন একমত হলাম যে, বঙ্গবন্ধুকে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবর্ধনা দিচ্ছে, সম্ভবত সে কারণে পুলিশ বাহিনী গোলাগুলির মহড়া দিচ্ছে। আমরা যার যার কক্ষে শুয়ে পড়লাম।
ঘুম আসছিল না, এপাশ ওপাশ করছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে গোলাগুলির আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। পরে জানতে পেরেছি কাছের বিকট শব্দগুলো আসছিল রমনা পার্কের পূর্ব দিকে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসা থেকে। দূরের শব্দগুলো আসছিল ধানম-ির বঙ্গবন্ধু এবং শেখ ফজলুল হক মণির বাসা থেকে। আনুমানিক পৌনে ৬টায় শিফট ইনচার্জের কক্ষের দক্ষিণ পাশের জানালার দিক থেকে আর্মির বুটের শব্দ শুনতে পাই।
দেখতে পাই যে, আর্মিরা রাইফেল উঁচিয়ে পূর্ব পাশে পুলিশ ব্যারাকের দিকে দৌড়ে যাচ্ছে এবং দুইজন আকাশের দিকে তাক করে ফাঁকা গুলি করতে করতে ‘হ্যান্ডস আপ’ বলে চিৎকার করে এগোচ্ছে। ভোর হয়ে যাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁত ব্রাশ করছিল। সেনা সদস্যদের হাঁকডাকে পুলিশ সদস্যরা হতচকিত হয়ে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। জানালা দিয়ে এই দৃশ্য দেখে আমি অশনি সঙ্কত আঁচ করলাম এবং মানসিক প্রস্তুতি নিলাম। পাশের কক্ষে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মোহাম্মদ আলীকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করি। গভীর ঘুমের কারণে তাকে আর উঠাতে পারলাম না।
মনোবল অটুট রেখে পায়চারি করছি। আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম, যে কোন একটা অঘটন ঘটে গেছে। তখনও আমি কল্পনা করতে পারিনি এত বড় নৃশংস পৈশাচিক হত্যাকা- ঘটেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চার পাঁচজন সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ান এফ এম ট্রান্সমিটার কক্ষের দরজা সজোরে ধাক্কা দেয়া শুরু করল। পিস্তল উঁচিয়ে তারা শিফট ইনচার্জের কক্ষে দিকে এগোতে এগোতে একজন চিৎকার করছিল, জানতে চাচ্ছিল শিফট ইনচার্জ কে? আমি এফ এম ট্রান্সমিটারের কক্ষের দরজায় পৌঁছে দেখি মেজর ডালিমসহ কয়েক জনের পোশাকে রক্তের দাগ।
অনেক বছর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে আমি ও মেজর ডালিম সমসাময়িক ছাত্র ছিলাম, বিধায় তাকে আমি চিনতে পারি। সে তখন ভিক্টোরিয়া কলেজে এনএসএফের ও পা-া ছিল। আমার সামনে সাক্ষাত যমদূতরা আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে আছে! ঘটনার নৃশংসতা ও পৈশাচিকতা বুঝতে আমার আর বাকি রইল না। একটি মাত্র ভুল সিদ্ধান্ত জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিতে একটি বুলেটই যথেষ্ট! আমি নিজেকে শিফট ইনচার্জ বলে পরিচয় দিলাম।
ডালিম রিভলভার আমার বুকে ধরে বলেছিল, ‘Sheikh Mujib & all his gang has been killed. Army has taken power.’ আমি এখন বেতারে ঘোষণা দেব; আপনি সমস্ত যন্ত্রপাতি অন করে দেন। আমাকে শিফট ইনচার্জের কক্ষে নিয়ে যায় এবং নানা অঙ্গভঙ্গি করে ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। এদের একজন মেজর শাহরিয়ার আমার শিফটের অন্যান্য স্টাফ কোথায় জানতে চায়। আমি তাদেরকে ঘুমন্ত মোহাম্মদ আলীর কক্ষে নিয়ে যাই। মোহাম্মদ আলী ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে এক সেনা সদস্য পিস্তলের বাঁট দিয়ে তার কোমরের নিচে সজোরে আঘাত করে।
চিৎকার দিয়ে মোহাম্মদ আলী উঠে বসে। আমাদেরকে মাস্টার কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যায়। আমাদের আরও দুই সহকর্মী সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। মেজর ডালিম পুনরায় আমাকে স্টুডিওর যন্ত্রপাতি অন করে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা একটি রেডিও রিসিভার দেখিয়ে বলে, ‘আমি এখন ঘোষণা দেব; যদি এই ঘোষণা রেডিওতে শোনা না যায় তবে তোমাদেরকে শেষ করে দেব!’
আমরা স্টুডিওর সকল যন্ত্রপাতি অন করে দেই। আমি মনে মনে আতঙ্কগ্রস্ত হই, কারণ শাহবাগ কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দিলেও মিরপুর ও সাভারের ট্রান্সমিটার চালু না করলে এই ঘোষণা সম্প্রচার হবে না। তখন ভোর ৬টা ৫ মিনিট। প্রাতঃকালীন অধিবেশন শুরু হয় ভোর সাড়ে ৬টায়। আমি সাহস করে মেজর ডালিমকে বলি, ‘এখান থেকে ঘোষণা দিলেও মিরপুর ও সাভারের ট্রান্সমিটার অন না করলে আপনার ঘোষণা সম্প্রচার হবে না।’ এ কথা শুনে সে প্রচ- রেগে গিয়ে বলে, ‘তবে কি করতে হবে?’ উত্তরে আমি তাকে বলি, ‘মিরপুর কেন্দ্রের শিফট ইনচার্জকে দিয়ে ট্রান্সমিটার চালু করলে ঘোষণা সম্প্রচার হবে।’
সে রাগান্বিত কণ্ঠে মিরপুর কেন্দ্রের শিফট ইনচার্জকে দিয়ে ট্রান্সমিটার চালু করাতে বলে। তারা তখন ভীষণ উত্তেজিত এবং চার-পাঁচজন পিস্তল হাতে আমার পাশে ঘোরাঘুরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে নার্ভ স্বাভাবিক রেখে কাজ করা ছিল কঠিন। ডালিমের নির্দেশমতো মিরপুর কেন্দ্রের শিফট ইনচার্জকে ফোন করলাম। তাকে বললাম, ‘লতিফ, সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর অফিসাররা আমার সামনে দাঁড়ানো, আপনি এক্ষণি ট্রান্সমিটার অন করে দেন’। অপর প্রান্ত থেকে লতিফ সাহেব বলেন, ‘এই শালা তুই কি পাগল হয়েছিস, তোকে কি হেমায়েতপুরের পাগলাগারদে পাঠাতে হবে?’ আমি বলি, ‘বি সিরিয়াস লতিফ, আর্মি অফিসাররা আমার সামনে দাঁড়ানো, ট্রান্সমিটার অন করে দাও।’
আমাদের কথোপকথন আঁচ করতে পেরে মেজর ডালিম আমার হাত থেকে টেলিফোনটা কেড়ে নিয়ে লতিফ সাহেবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, ‘তুই এখন ট্রান্সমিটার অন কর, না হলে আর্মির গাড়ি পাঠাচ্ছি, তোকে শেষ করে দেব।’ এ কথাগুলো বলে টেলিফোনটা আমার হাতে দিয়ে লতিফ সাহেবকে পুনরায় ট্রান্সমিটার চালু করার জন্য আমাকে বলতে বলেন। আমি আবার লতিফ সাহেবকে অন করতে বলি। কিছুক্ষণের মধ্যে লতিফ সাহেব ট্রান্সমিটার অন করে দেন যা আমি মাস্টার কন্ট্রোল রুমের রেডিও রিসিভার দিয়ে নিশ্চিত করি। এদের কাছে কোন লিখিত ঘোষণাপত্র ছিল না।
মেজর ডালিম আমার কাছে থেকে কাগজ ও কাঠ পেন্সিল নিয়ে ঘোষণাটি লিখল। স্টুডিওতে নিয়ে গিয়ে আমাকে বলল, ‘আমি এখন ঘোষণা দেব। যদি এই ঘোষণা রেডিওতে শোনা না যায় তবে আপনাকে শেষ করে দেব।’ আমি আতঙ্কিত হলেও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। মেজর ডালিমকে আমি চার নম্বর স্টুডিওতে নিয়ে যাই এবং একজন টেকনিশিয়ানকে কন্ট্রোল বুথে বসিয়ে লাইন পরীক্ষা করে নিই। মেজর শাহরিয়ার রেডিও রিসিভার নিয়ে স্টুডিওর করিডরে ঘোষণা শোনার জন্য অপেক্ষা করে। আমি মেজর ডালিমকে মাইক্রোফোনের সামনে বসিয়ে তার কথামতো কড়িডরে মেজর শাহরিয়ারের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। ৬-১০ মিনিটে মেজর ডালিম ঘোষণা দেয়, ‘শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে; খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সারাদেশে কার্ফু জারি করা হয়েছে।’
মেজর শাহরিয়ারের নিকট থাকা রেডিওতে ডালিমের ঘোষণা শোনা গেল। এভাবে কয়েকবার ঘোষণা দেয়ার পর তারা সলাপরামর্শ করে ‘শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে’ এর পরিবর্তে ‘শেখ মুজিবকে উৎখাত করা হয়েছে’ বলে ঘোষণা প্রচার করতে থাকে। পরে রেকর্ডিং করে তাদের নির্দেশিত গান সম্প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে এই ঘোষণা চলতে থাকে। এই ঘোষণা রেডিওতে সম্প্রচারের পর তাদের উত্তেজনা প্রশমিত হলো। মেজর ডালিম সকাল ৭টার দিকে আমাকে রেডিও বিল্ডিংয়ের সামনের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে জেসিও, এনসিওসহ পঞ্চাশ-ষাটজন জওয়ান দেখতে পাই। ডালিম একজন সুবেদারকে ডেকে বলল, ‘পনেরো মিনিটের মধ্যে আমি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আসছি; প্রেসিডেন্ট এলে তাকে স্যালুট দিতে হবে। তোমরা সবাই প্রস্তুত হয়ে যাও।’
নির্দেশ দিয়ে সে আর্মির একটি গাড়িতে উঠে চলে যায়। আমি তখন ভাবছি কে এই খন্দকার মোশতাক? সেনাবাহিনীতে তো এই নামে কোন সিনিয়র অফিসার নেই। আমি তখন স্বপ্নেও ভাবিনি সে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার বাণিজ্যমন্ত্রী! বঙ্গবন্ধুর বিশাল হৃদয়ের স্নেহের আনুকূল্যে দুধ-কলা খেয়ে বেড়ে ওঠা বিষধর সাপ। মানব ইতিহাসের নিকৃষ্টতম বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
পনেরো মিনিটের মধ্যে ডালিম খন্দকার মোশতাককে শাহবাগ বেতার অফিসে নিয়ে আসে। মেজর ডালিম গাড়ি থেকে নেমে খন্দকার মোশতাকের গাড়ির দরজা খুলে দেয়। বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমি এই দৃশ্য দেখছিলাম। সে গাড়ি থেকে নামার পর কিলার গ্রুপের একটি দল মোশতাককে স্যালুট জানায়। স্যালুটের পর ডালিম খন্দকার মোশতাককে ভেতরে দুই নাম্বার ভিআইপি স্টুডিওতে নিয়ে বসায়।
মোশতাক এসে ডালিম ও শাহরিয়ারের সঙ্গে পরামর্শ করে। কিছুক্ষণ পর আরেক বিশ^াসঘাতক, তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে নিয়ে আসে। তাহেরউদ্দিন ঠাকুর এসে খন্দকার মোশতাকের একটি ভাষণ লিখে দেয়, যা রেকর্ড করে সকাল ৮টায় সম্প্রচার করা হয়। এর পরের দৃশ্যপট ছিল চরম লজ্জাজনক ও ধিক্কারজনক। কিলার গ্রুপ সেনাবাহিনী প্রধানসহ সকল বাহিনী প্রধানকে বিশ্বাসঘাতক মোশতাকের সামনে হাজির করে। তাহেরউদ্দিন ঠাকুর অবৈধ মোশতাক সরকারের প্রতি বাহিনী প্রধানদের আনুগত্যের শপথ বাক্যের খসড়া লিখে দেয়।
তারা একে একে আনুগত্যের শপথবাক্য পাঠ করেন, যা রেকর্ড করে রেডিওতে সম্প্রচার করা হয়। চীফ অব জেনারেল স্টাফ, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ সিভিল ড্রেসে এসে খন্দকার মোশতাকের ডান পাশের চেয়ারে বসে একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছিলেন।
প্রেসিডেন্টের পাশে বসে একজন ব্রিগেডিয়ারের সিগারেট খাওয়া প্রটোকল শোভা পাচ্ছিল না। কিন্তু উনি প্রটোকল মানছিলেন না। মনে হচ্ছিল উনি খুব রাগান্বিত! বাহিনী প্রধানরা মোশতাকের সঙ্গে দুই নাম্বার স্টুডিওতে বসা, তখন সকাল সাড়ে ৮টায় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ডালিমের সঙ্গে স্টুডিও থেকে বেরিয়ে বেতার বিল্ডিংয়ের কড়িডরে উত্তর পাশের প্রান্তে গিয়ে করমর্দনরত অবস্থায় প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট কথা বলেন। আমি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রাজসাক্ষী হিসেবে দুইটা ঘটনা জানতে পেরেছি।
১৯৭৫ সালের পনেরো আগস্টের তিনদিন আগে ১২ আগস্ট বিকেলে গণভবনে বঙ্গবন্ধু যখন সাধারণ পোশাকে এক রুম থেকে অন্য রুমে যাচ্ছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত তাহেরউদ্দিন ঠাকুর বঙ্গবন্ধু বারণ করা সত্ত্বে¡ও তার পায়ে নিজ হাতে চপ্পল পরিয়ে দিয়েছিল। খন্দকার মোশতাক ১৪ আগস্ট হাঁসের মাংস রান্না করে তার বাসা থেকে বঙ্গবন্ধুর বাসায় পাঠিয়েছিল। এই সব নিকৃষ্টতম বিশ্বাসঘাতকরা চাটুকারিতা করে মহামানবদের এভাবেই সর্বনাশ করে।
একদল খুবই অল্প কয়েকজন চাকরিচুত্য বিপথগামী জুনিয়র অফিসার গোলাবারুদহীন কয়েকটি ট্যাংক নিয়ে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করল আর বাহিনী প্রধানরা বিদ্রোহ দমন না করে রেডিওতে গিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে যে কাপুরুষতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল, ইতিহাস তাদেরকে কোন দিন ক্ষমা করবে না! ইতিহাসের বরপুত্র, বাংলার সাধারণ মানুষের রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু।
যতদিন মানব সভ্যতা থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালী জাতি থাকবে, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থাকবে, মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনে চিরঅধিষ্ঠিত থাকবেন তিনি! জয়তু বঙ্গবন্ধু, জয়তু বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।
লেখক- প্রণব চন্দ্র রায়
কানাডা প্রবাসী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, অবসরপ্রাপ্ত আঞ্চলিক প্রকৌশলী, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা।