
.
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তার সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সাংঘর্ষিক। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের বিষয়ে বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ মন্তব্য করেন। এদিকে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে সর্বমোট তিন বার চিঠি দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রবিবার বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের এক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সুইজারল্যান্ডে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারী বাংলাদেশীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য চাওয়া হয়নি বলে দেশটির রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্য সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেছে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবী তথ্যসহ এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অবৈধভাবে অর্থ জমাকারী বাংলাদেশীদের বিষয়ে বিএফআইইউর মাধ্যমে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে দুদকের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের বক্তব্য তুলে ধরেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। গত ১০ আগস্ট (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট নজরে নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে বিষয়টি নিয়ে তথ্য জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। এরপর আদালত এ বিষয়ে লিখিত আকারে দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২১ আগস্ট দিন ধার্য করে।
সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়ে ‘৩ বার চিঠি দিয়েছিল’ বাংলাদেশ ব্যাংক ॥ সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে সর্বমোট তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রবিবার বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের এক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।