ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একদিনেই ৮০ পয়সা কমল টাকার মান কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ডলারের মূল্য বেঁধে দিল সাড়ে ৮৭ টাকা ব্যাংকগুলো নিচ্ছে ৯৩-৯৫ টাকা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৭ টাকা

ডলার বাজার অস্থির ॥ আমদানি ব্যয় পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১৭ মে ২০২২

ডলার বাজার অস্থির ॥ আমদানি ব্যয় পরিশোধের চাপ

রহিম শেখ ॥ হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। মূলত আমদানি ব্যয় পরিশোধের চাপে মার্কিন ডলারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বিক্রি করেও কোনভাবে উর্ধগতি ঠেকাতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে ৮০ পয়সা। সোমবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে গত ২০ দিনের ব্যবধানে কাগজে-কলমে ডলারের দাম বেড়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের জন্য আমদানিকারকদের থেকে নিচ্ছে ৯৩-৯৫ টাকা। এ কারণে খরচ বাড়ছে আমদানি পণ্যের। যার প্রভাব পড়ছে ভোগ্যপণ্যের দামে। এদিকে ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও আরও বেশি চটেছে নগদ ডলারের বাজার। সোমবার নগদ প্রতি ডলারের দাম ৯৬ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। করোনার পরে বিদেশে যাওয়া বেড়ে গেছে, এর ফলে চাহিদাও বেড়েছে। তবে বিদেশী পর্যটক ও নগদ ডলার দেশে আসছে কম। এতেই বাড়ছে দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি বাড়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম বাড়ছে। এ জন্য রফতানি ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বড় উদ্যোগ নিতে হবে। আর খোলাবাজারে সঙ্কট কাটাতে কেউ যাতে সীমার বেশি নগদ ডলার বিদেশে নিতে না পারে, তার তদারকি জোরদার করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় (জুলাই-মার্চ সময়ে) আমদানি খরচ বেড়ে গেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। তবে রফতানি আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। আবার প্রবাসী আয় যা আসছে, তা গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর সঙ্গে রয়েছে সরকারী-বেসরকারী খাতের বড় অঙ্কের বিদেশী ঋণ পরিশোধ। ফলে আয়ের চেয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২০০ কোটি বেশি ডলার খরচ হচ্ছে। এ কারণে বাড়ছে দাম। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও জনতা ব্যাংক সোমবার ৯২ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। অগ্রণী ব্যাংক বিক্রি করেছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সা দরে। বেসরকারী ইস্টার্ন ব্যাংকও ৯২ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই একই জায়গায় ‘স্থির’ ছিল ডলারের দর। এর পর থেকেই শক্তিশালী হতে থাকে ডলার, দুর্বল হচ্ছে টাকা। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, এই নয় মাসে বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এদিকে ব্যাংক খাতের পাশাপাশি খোলাবাজারে ও মানি চেঞ্জারে নগদ ডলারের দামও এখন চড়া, যা ৯৬ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ঈদের আগেও যা ৯১ টাকা ছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খোলাবাজারের ওপর কোন তদারকি নেই। অনেকেই বড় অঙ্কের ডলার সংগ্রহ করছেন। আবার বিদেশে যাওয়ার চাপ বেড়েছে। সেই পরিমাণ ডলার বিদেশ থেকে আসছে না। এ কারণে সঙ্কট। নগদ ডলারের একমাত্র উৎস বিদেশ থেকে সঙ্গে নিয়ে আসা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। বাজার বিবেচনা করে ডলারের রেট ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, রফতানি বাড়ছে, ঈদের সময় রেমিটেন্স ২০০ মিলিয়ন এসেছে। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর চাঁদার বিপরীতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। যখনই প্রয়োজন হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। তবে আশার কথা আমাদের রফতানি বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে গড় মার্জিনসহ আমরা বিভিন্ন বিধিনিষেধ দিয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এদিকে ডলারের দাম নিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, চাহিদা বাড়ায় ডলারের দাম বাড়ছে। অনেক বিদেশী ব্যাংক ডলার ৯৪/৯৫ টাকায় কিনছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে বাজারের কী অবস্থা। এখন দর ঠিক রাখতে হলে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া ভাল। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক এক দাম বেঁধে দিচ্ছে, ব্যাংকগুলো আরেক দামে কেনাবেচা করছে। লাভ কী তাহলে? এতে যেকোন সময় বাজার অস্থির হয়ে যেতে পারে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ডলারের দাম বাজারের ওপর নির্ভয় করে। আমাদেরও ছেড়ে দেয়া উচিত। জানা গেছে, ২০১৭ সালে নগদ ডলারের সঙ্কট মোকাবেলায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৫০ লাখ ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আমদানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ডলার আমদানিতে প্রায় ৩৭ শতাংশ কর ও শুল্কারোপ থাকায় ব্যাংকটি মুদ্রা আমদানি করেনি। সর্বশেষ ২০১১ সালে ৪০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি করেছিল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ডলারের দাম বাড়ায় যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের খরচও বেড়ে গেছে। মতিঝিলের ডলার ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘অনেকেই এখন বিদেশে যাচ্ছেন। তবে ডলারের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বাড়ছে।’ বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সঙ্কট শুরু হয়। যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু’এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ৮৫ টাকা ছাড়ায়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি এটি বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২২ মার্চ পর্যন্ত এ দরেই স্থির ছিল। পরে গত ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ১০ মে বাড়ে আরও ২৫ পয়সা। সর্বশেষ সোমবার একদিনেই বেড়েছে ৮০ পয়সা। ফলে এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম গিয়ে ঠেকেছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। অর্থাৎ গত ৯ মাসের ব্যবধানে প্রতি ডলারে দর বেড়েছে দুই টাকা ৭০ পয়সা। খোলা বাজারে লাগামহীন ডলারের দাম ॥ ব্যাংকগুলো এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারপ্রতি কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি নিচ্ছে। কোন কোন ব্যাংক এর চেয়েও বেশি আদায় করছে। ডলারের দাম ২০/৫০ পয়সা বাড়লেই বাজারে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়। সেখানে ৭ টাকা বাড়তি নেয়া রীতিমতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বলে মনে করছেন কোন কোন ব্যবসায়ী। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ডলারের উর্ধগতিতে এলসি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আরেক আমদানিকারক এলিওন ট্রেডার্সের মালিক পারভেজ আহমেদ। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা খাদ্যপণ্য আমদানি করি। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেশি, অন্যদিকে ডলারের সঙ্কট। আজ এক দর দেখে পণ্য অর্ডার দিই, কাল দেখি আরেক দর। ব্যাংকগুলো এখন প্রতি মুহূর্তেই ডলারের দাম বাড়াচ্ছে। সোমবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে একটি এলসি পরিশোধ করেছি, তারা নিল ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা। যদি প্রতি ডলারে ৭ থেকে ৮ টাকা বেশি লাগে তাহলে পণ্য এনে ব্যবসা করব কিভাবে? রিজার্ভের ওপর বাড়ছে চাপ ॥ সব মিলিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সোমবার পর্যন্ত (সাড়ে দশ মাসে, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ১৬ মে পর্যন্ত) ৫২০ কোটি (৫.২০ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও বাজারের অস্থিরতা কাটছে না। বেড়েই চলেছে ডলারের দর। এর আগে বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত অর্থবছরে ডলার কেনায় রেকর্ড গড়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। আমদানি বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ ও ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। আমদানি পণ্যে লাগাম ॥ ডলারের দাম বাড়ায় ও রিজার্ভে টান পড়ায় এখন বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ঋণপত্র খোলার সময় নগদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, করোনার প্রভাব এবং বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন হার পুনর্নির্ধারণ করা হলো। এর ফলে মোটর কার (সেডান কার, এসইউভি ইত্যাদি), হোম এ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক সামগ্রীর আমদানির ঋণপত্র খোলার সময় ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। রফতানির চেয়ে আমদানি বেড়েছে ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রফতানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৯২ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আলোচিত ৯ মাসে রফতানি থেকে দেশ আয় করেছে তিন হাজার ৬৬২ কোটি ডলার। পণ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় থেকে রফতানি আয় বাদ দিলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। জানতে চাইলে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমদানিতে বেশ চাপে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ব্যালান্স অব পেমেন্ট ১৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অস্থির হয়ে উঠেছে ডলারের বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু আমদানি বাড়ায় তারপরও চাহিদা মিটছে না।’ গত বছরের চেয়ে রেমিটেন্স কমেছে ১৭ শতাংশ ॥ করোনার ধাক্কা কাটিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে। যা ছিল আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সব রেমিটেন্স আয় বৈধ পথে দেশে এসেছিল। আর এখন ব্যাংকে ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য আট টাকা ছাড়িয়েছে, এ জন্য অবৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা আবারও বাড়ছে। আর বৈধ পথে কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার।
×