ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সীমানা সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৫ মার্চ ২০১৮

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সীমানা সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদের আসনের সীমানা সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বেশিরভাগ আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মাত্র ১৬ জেলার ৩৮ আসনের সীমানার পরিবর্তন এনে বুধবার এই খসড়া তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে কারও কোন দাবি-আপত্তি থাকলে ১ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কমিশন দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩০ এপ্রিল সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন অফিসে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব খসড়া চূড়ান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘কমিশন ১৬ জেলার ৩৮ নির্বাচনী এলাকা পুনর্গঠন করেছে। এর মধ্যে ঢাকার ৫, নারায়ণগঞ্জের ২, নীলফামারীতে ২, রংপুরে ৩, কুড়িগ্রামে ২, পাবনায় ২, মাগুরায় ২, খুলনায় ২, সাতক্ষীরায় ২, জামালপুরের ২, শরীয়তপুরের ২, মৌলভীবাজারেরর ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২, কুমিল্লার ৪, নোয়াখালীরর ২ এবং চট্টগ্রামের ২টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে তার মধ্যে নীলফামারী-৩, নীলফামারী-৪, রংপুর-১, রংপুর-৩, রংপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৩, কুড়িগ্রাম-৪, পাবনা-১, পাবনা-২, মাগুরা-১, মাগুরা-২, খুলনা-৩, খুলনা-৪, সাতক্ষীরা-৩, সাতক্ষীরা-৪, জামালপুর-৪, জামালপুর-৫, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৭, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৯, নারায়ণগঞ্জ-৪, নারায়ণগঞ্জ-৫, শরীয়তপুর-২, শরীয়তপুর-৩, মৌলভীবাজার-২, মৌলভীবাজার-৪, বাহ্মণবাড়িয়া-৫, বাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৬, কুমিল্লা-১০, নোয়াখালী-৪, নোয়াখালী-৫, চট্টগ্রাম-৭ ও চট্টগ্রাম-৮ আসন। এতে উল্লেখ করা হেেয়ছে প্রস্তাবিত ৩৮ আসনে উপজেলার অখ-তা, প্রশাসনিক এলাকা যোগ ও বিলুপ্ত ছিটমহল যোগ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে একাদশ সংসদে ২৬২ আসনের সীমানা আগের মতোই থাকল। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেব ইসি সচিব বলেন, ’১১ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে ২০১৩ সালে এক দফা সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আনা হয়। যার কারণে এবার বড় ধরনের কোন পরিবর্তন আসেনি এবং কোন জেলার আসনও হেরফের হয়নি।’ ২০১১ সালে সর্বশেষ পঞ্চম আদমশুমারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিদ্যমান অধ্যাদেশ অনুযায়ী জনসংখ্যার যথাসম্ভব সমতা রেখে দশম সংসদ নির্বাচনে আদমশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসন বিন্যাস করা হয়। পরবর্তী আদমশুমারির প্রতিবেদন হবে ২০২১ সালে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় ১৯৯৫ সালের সীমানার গেজেট বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ১৯৮৪, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে ১৩৩ সংসদীয় আসনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। দশম সংসদে ছয় নীতিমালা অনুসরণ করে ৫০ আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে আসন পুনর্বিন্যাস করা হয়।
×