ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কবি ও কবিতা বর্তমান প্রবণতা

শওকত এয়াকুব

প্রকাশিত: ২১:০১, ১ ডিসেম্বর ২০২২

কবি ও কবিতা বর্তমান প্রবণতা

কবি হওয়া একটি অবস্থা, পেশা নয়-(রবার্ট ফ্রস্ট)

কবি হওয়া একটি অবস্থা, পেশা নয়-(রবার্ট ফ্রস্ট)। কবি হতে কি মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ থাকতে হয়? নাকি দাড়ি-গোঁফ ছাড়াও কবি হওয়া যায়? নাকি মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ রাখাটা কবিদের অভ্যাস? মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ, অনেকদিন গোসল না করা, ময়লা কাপড় পরা, কাঁধে লম্বা ব্যাগ ঝুলালেই কি মানুষ কবি হয়ে যায়? না, প্রকৃত কবি তিনি-যিনি নিরঞ্জন পৃথিবী থেকে, মুকুলের গন্ধ থেকে, হাঁসের পালক থেকে ছিটকে যাওয়া রোদেলা রাংতাটুকু ব্রহ্মচারীর মতো খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্তিতে ক্লিষ্ট হতে চান। উচ্চাঙ্গের উৎকণ্ঠা, ব্যক্তিত্বের সরল ঋজুরেখা থেকে দৃষ্টি ফেরালে মনে হবে, কবি যেন সমুদ্রে ভেসে থাকা বিরাট আর নির্জন এক মাস্তুল।

কবি হলো সত্যিকারের সেই আকিঞ্চন পিঁপড়ে-যে ক্ষুদ্র আঁধার হয়েও জমাট মধুর স্ফটিক কণা খুঁজে খুঁজে খুঁটে আনে। কবি সেই কখনও তিনি পাড়ি দেন পাথুরে জমাট জল, কখনও উত্তপ্ত বালুকারাশি। কবিকে যাপন করতে হয় অহরহ দ্বৈত জীবন। জীবনের ঘনিষ্ঠতম বৃত্তকে আঁকড়ে থেকেও নিঃসঙ্গতার বালুচরেই তাকে শেষ পর্যন্ত বসত গড়তে হয়। মধ্যযুগের কবি আলাওল তার একটি কবিতার চরণে বলেছেন— ‘কদাচিৎ নহে কবি সাধারণ মনুষ্য/শাস্ত্রে কহে কবিগণ ঈশ্বরের শিষ্য।’ কবি আলাওল কবিদেরকে ঈশ্বরের শিষ্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই তো কবিরা অনায়সে চাঁদকে বানিয়ে দিতে পারেন ঝলসানো রুটি।
কবি যখন যে অবস্থায় থাকেন না কেন, ঘোরের ঝঙ্কারে তার ভেতরটা নড়ে উঠলে তিনি আর স্থির থাকতে পারেন না। হোক সে মাধ্যরাতে। কনকনে শীতের অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘনঘোর কালরাত্রি। রেহাই নেই, কবির রেহাই মিলে না। তবে আরামের শয্যা ত্যাগ করে একান্ত নির্জনে আপন মুকুরে চিনে নিতে হয় আপন অবয়ব। অনুভবের অন্তর্জালে বেঁধে নিতে হয় আপন অবয়ব। অনুভবের অন্তর্জালে বেঁধে নিতে হয় শব্দ, বাক্য, উপমা-উৎপ্রেক্ষা জটিল সমীকরণ।
কবিদের ওয়াকিবহাল থাকতে হয়, কেবল নিজ সাহিত্য নয়, বিশ্বরাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিসহ দর্শন, বিজ্ঞান, সব বিষয়ে। কবি কেবল ভাবনার বসবাস করেন না, তাকে পঠন-পাঠনসহ ভাবনার খোরাক জোগানোর জন্য সময় দিতে হয় বিস্তার।  কবিদের নিয়ে সমাজে অনেক কথা চলে আসছে, আবার অনেকে কিছু কিছু আগ বাড়িয়েও বলে। কবিরা কি আলাভোলা, বিষয়বিমুখ, স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক? কবিদের তো অনেকে দুশ্চরিত্রবান বলেও সন্দেহ করেন। আবার আপার কৌতূহলও তাকে নিয়ে। অথচ কবি বাস করেন সমাজেই। সংসারের অনুশাসন মেনেই চলতে হয় তাকে। কবিকেও ছুটতে হয়, টানতে হয় জীবিকার গাড়ি।
আসলে তারা কি জানেন, কবিরা সবার দুঃখের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে বয়ে বেড়ান? তখন তারা মুখ ভেঙ্গিয়ে বলবেন হয়তো তাকে দায়িত্ব কে দিল? না, কেউ দেয়নি, জন্মগত নিয়তিকে মেনেই কবি নিজেই তুলে নেন এ দায়।
কবিরা কি ‘অসাধারণ’ বা ‘অস্বাভাবিক’ মানুষ যে, তাদের জীবনধারা বিশেষ আলোচনার বিষয় হতে পারে? তবুও, কবিদের জীবন-যাপন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহলের অন্ত নেই। কিন্তু বিলাসিতায় ভরা প্রকৃত কবিজীবন নয়। পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের দেশগুলোতে কবিকে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করতে হয়। মগজে সর্বক্ষণ কবিতাক্রান্ত হয়েও পেটের দায়ে অন্য কাজ করতে হয়। সকল কবি কিন্তু রবীন্দ্র্রনাথের মতো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি, নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাবা জমিদার হয়েও কবির জীবনে ছিল দুর্বিষহ দুঃখ।
যে দেশে কবিকে কাকের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সে দেশে কবির একটি বাসা ভাড়া নিতে ঘাম ঝরে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ কোনো কোনো বাড়িওয়ালা কিংবা বাড়িওয়ালী কবি নাম শুনলেই ধরে নেন, সে তো ঠিকমতো বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পরবে না। নিজেই খেতে পায় কিনা সন্দেহ। কবি চাকরি পাবে না, কারণ কবিকে শৃঙ্খলে আনা যায় না, অথচ সেই কবি-ই কিনা ছন্দের দারুণ শৃঙ্খলে অসাধারণ পঙক্তি রচনা করেন।
কবি শুধু স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠবেন, নাকি নৈতিক মান বজায় রেখে কবিতা লেখার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও সৎ থাকবেন? এসবও আজ আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে। কবিরা ছোট সুবিধা ও নগদ ধান্ধায় কবিতাকে ব্যবহার করবেন, নাকি কবিতাকে এসবের ঊর্ধ্বে রেখে কবি নিজেকেও বাঁচাবেন, কবিতাকেও বাঁচাবেন-সেটি বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কবির দায়বদ্ধতা প্রধারণতন দুই ধরনের। প্রথমত, প্রাথমিক বা অভ্যন্তরীণ দায়; দ্বিতীয়ত, বাহ্যিক বা সামাজিক দায়। অভ্যন্তরীণ দায়বদ্ধতা যথাযথ পালনের মধ্যে দিয়ে কবিতা নামের সৃষ্টি কর্মটি প্রকৃত অর্থে কবিতা হয়ে ওঠে।
কবিতা আসলে কি? কবিতা কি রকম হওয়া উচিত? কবিতার স্বরূপ কি হওয়া প্রয়োজন? কবিতার পরিচয় কোথায়? কবিতা লিখে কোথায় যাওয়া যায়? চন্দ্রে, মঙ্গল গ্রহে, অথবা সমুদ্রের খুব নিচে? কবিতা আসলে অনুভূতির ভেতর মাইল মাইল শূন্যতার উৎসব। কবিতা কি কেউ লিখতে পারে আসলে? কবিতা নিজেই লিখিয়ে নেয়। অনেকদিন না-ঘুমানো মানুষের যেমন ঘোর লেগে থাকে, এক সময় ওই অভ্যাসটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে; কবিতাও তেমনই কিছু একটা। নির্ঘুম ভাবনার ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা অথবা জেগে থেকে ঘুমিয়ে পড়া।

কিন্তু চেতনার স্রোতের ভেতর গেঁথে যেতে থাকে শব্দের পর শব্দ। কবি আল-মাহমুদ বলেছিলেন ‘কবিতা লিখতে এসেছো ভালো কথা। পারবে? পায়ে অনুক্ষণ রক্ত ঝরিয়ে কাটা বিছানো পথে হেঁটে যেতে? কবিতা তো স্বপ্নের নামান্তর, যাকে প্রতিক্ষণ লালন করতে হয়। বাস্তবের সাংঘাতে রক্তাক্ত হয়েই তাকে আগলে রাখতে হয়।’ বাংলাভাষার আর একজন কবি শামসুর রাহমান বলেছিলেন ‘কবিতা এমনই নিষ্ঠুর নিয়তি, সে কোনোকিছুকেই ছাড় দিতে রাজি নয়। এমনকি পাশে বসে থাকা প্রেমিকাকেও। প্রয়োজনে প্রেমিকার পিঠই হয়ে ওঠে প্রেমিকের লেখার আরাধ্য স্থান।
বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ, দোহা, সহ সকল প্রাচীন গ্রন্থ রচিত কবিতাতেই। মধ্যযুগেও রচিত হয়েছে কালজয়ী কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ। সাহিত্যের সর্বোচ্চ স্তরও কবিতা। রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য উপমহাদেশে প্রথম সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী। নজরুল বাংলা কবিতার মাধ্যমে ব্রিটিশ মসনদে কম্পন ধরিয়েছেন। বাংলা কবিতাকে মাইকেল, জসীমউদ্দীন, জীবননান্দ, ফররুখ, শামসুর রাহমার, আল মাহমুদের মতো খ্যাতিমান কবিরা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

আজকের দিনে বাংলা সাহিত্য সমাজ বিশেষত কবিতার জগত লোকে-লোকারণ্য এবং এ জনতার মধ্যে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলে আছেন। কেউ এটা মনে করবেন না যে আমি এখানে লেখকদের কোনোরূপ কটাক্ষ করে এসব বলছি। এত বেশি লোক যে এত বেশি লিখছে তাতে আনন্দিত হবার কারণ আছে। এত অজস্র রচনা বাংলা সাহিত্যের সত্যের পরিচয় দেয়। পঞ্চাশের দশকেও কবিতা ছিল প্রধানত সমকালীন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক তৎপরতার ফসল। মানবিকতা ও সমাজচেতনার রোমান্টিক প্রকাশের পালাবদল ঘটে ষাটের দশকে। তবে তা জাতীয়তাবোধকে বাদ দিয়ে নয়।

সেক্ষেত্রে স্বদেশপ্রেম-মানবীপ্রেম একাকার হয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে প্রকাশ পেয়েছে। মাটির সোঁদা গন্ধ আর মায়ের দেহের ঘ্রাণ মিলেমিশে কবিতা নান্দনিক প্রকাশ ঘটিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে কবিতার আবেগধর্মী কিছুসংখ্যক জাদুকরী পঙক্তি।
দেশে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের আগেও কবিতা তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ছিল সমুজ্জ্বল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষত ফেসবুকের ব্যবহারের ব্যাপকতার সঙ্গে সঙ্গে যেন কবির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। কবিতা হোক বা না হোক, যা মনে আসছে লিখে পোস্ট করছে। এতে কেউ বাধা দেওয়ার নেই। ফেসবুকে যারা লেখে তাদের মধ্যে, বিশেষত নবীনদের এ প্রবণতা বেশি। কিছু অগ্রজ যে এতে সামিল নেই এ কথা বলা মুশকিল।

তাদের লেখায় তেমন কোনো নতুনত্ব পরিলক্ষিত হয় না। সবাই লেখে একই বিষয়ে। প্রায়শই একই অন্তমিল। বিষয়ের ক্ষেত্রেও তেমন নতুনত্ব নেয়। ধরাবাধা বিষয়েই সবার বিচরণ। যেমন, জাতীয় দিবস, ঋতু, ব্যক্তি বিশেষ, ঈদ, পূজা ইত্যাদি। এর বাহিরে তেমন কোনো লেখা চোখে পড়ার মতো নেই। একজন নবীন লেখক মনে করে পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো উৎকৃষ্টতম, তাই সে নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করে। এবং পত্রিকাগুলো যে ধরনের লেখা প্রকাশ করে, সে ধরনের লেখা তারা লেখার চেষ্টা করে। এরজন্য লেখককে একা দোষারোপ করা যায় না। তা লেখকের সঙ্গে অন্যায় করার সামিল, বিশেষত নবীদের প্রতি একটু বেশিই হবে।

এক্ষেত্রে সম্পাদকরা উদাসীন বলে আমি মনে করি। কারণ সম্পাদকরা এত ঝামেলার ভেতর পত্রিকা প্রকাশ করেন যে তাদের পক্ষে লেখা পড়ার মতো সময় থাকে না। কথাটা হয়তো একেবারে মিথ্যা নয়। সম্পাদক সম্প্রদায় সারা বছরই উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়া লেখা প্রকাশে অনাগ্রহী বলে আমার কাছে মনে হয়। যার দরুন পত্রিকার সাহিত্যপাতাগুলো প্রতিনিয়ত পাঠক প্রিয়তা হারাচ্ছে। এই রোগে দেশের প্রায় পত্রিকা আক্রান্ত। হোক সেটি জাতীয় দৈনিক কিংবা আঞ্চলিক। এক্ষেত্রে গুটিকতক পত্রিকা ব্যতিক্রম আছে।
গতানুগতিক ধারায় যে একেবারেই ভালো কবিতা লেখা হয় না এমন কথা বলছি না। তবে নিকৃষ্ট কাব্য সাহিত্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সাহিত্যের গৌরব বাড়ে না। কবি আহসান হাবীব কবি হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন গবেষকও। তিনি ভেবেছেন বাংলা আধুনিক কবিতাকে নিয়ে। আজকাল দেখা যায় বহু অক্ষম কবি, কবিতা রচনায় তথাকথিত আধুনিকতার অশ্রয়ে নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে চেষ্টা করছে অনবরত। ফলে পাঠকমহল থেকে এমন অর্বাচীন উক্তি আমাদের শুনতে হয় যে, একপৃষ্ঠা গদ্য রচনাকে কোনাকুনি ছিঁড়ে নিলেই দুটি আধুনিক কবিতার জন্ম হয়।

তার মানে তাদের মতে, আধুনিক কবিতা হচ্ছে ছোট-বড় লাইনে সাজানো কতগুলো কথামাত্র। তাই, আধুনিক কবির কাছে অনুরোধ, তারা যেন চরিত্রে আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে এমনও অনেক কবি আছে, যাদের আধুনিক কবিতা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তাঁরা ‘আধুনিক কবিতা’ মানে আধুনিক কালে বা একালে লেখা কবিতা, এ-রকম মন্তব্য করে মাঝে মাঝে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে। এটা অজ্ঞতাপ্রসূত অথবা উদ্দেশ্যমূলক, যাই হোক, কথাটি সত্যি নয়।

আধুনিক কবিতা অবশ্যই আধুনিককালে লেখা; তবে সেজন্যেই নয়, আধুনিক কবিতা মূলত চরিত্রেই আধুনিক। আর আধুনিক কবিদের মনে রাখতে হবে, ইউরোপীয় সাহিত্যের দেহমনের সঙ্গে তাদের পরিচয় যতই ঘনিষ্ঠ হোক, তার সঙ্গে এদেশের পাঠক সমাজে পরিচয় তেমন ঘনিষ্ঠ নয়। আকস্মিকতার ধাক্কা কাটিয়ে কবিরা নিজেরাই যেখানে সহজ স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠতে পারেননি, সেখানে পাঠকদের জন্য আরও বেশি সময় প্রয়োজন।
আমি এখানে বর্তমান কাব্য চর্চার নিন্দা বা বদনাম করছি না। বর্তমান কাব্য চর্চার নিন্দা করা যেমন সহজ, প্রশংসা করা তেমন কঠিন। কাব্য চর্চার মূল্য নির্ধারণ করতে হলে নিজের অনুভূতি দিয়ে তা যাচাই করতে হয়, নিজের বুদ্ধি দিয়ে তা পরীক্ষা করতে হয়। আমরা ক’জন সে পরিশ্রমটুকু করতে রাজি? বিশেষত নবীন কবিসমাজ। তাই বর্তমান কাব্যে চর্চার প্রশংসার চাইতে নিন্দাই যে বেশিরভাগ শোনা যায়, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কোনো কারণ নেই।

×