জিমে হার্ট অ্যাটাক ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন
দিন দিন বেড়েই চলেছে তরুণ যুবক যুবতীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগগুলো হৃদরোগকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এ অবস্থায় মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করতে।
হৃদযন্ত্রের জটিলতা এড়িয়ে সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য চিকিৎসকরা বিশেষ কয়েকটি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বারবার তরুণ যুবক যুবতীদের জিমে ব্যায়াম করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হঠাৎ অতিরিক্ত ব্যায়াম করাকে দায়ী করে থাকেন। জিমে ব্যায়াম করার সময় বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণগুলো এড়িয়ে যেতে নিষেধ করা হয়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। যেসব মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
অনেকেই তাড়াতাড়ি মেদ ঝরানোর জন্য খাবার-দাবার না খেয়ে প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাউডার ও ফুড সাপ্লিমেন্ট পাউডার খান। এগুলো আসলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চিকিৎসকরা সঠিক পরিমাণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অনেকে জিমে ওয়ার্ক আউট করে শরীর সুন্দর করার চেষ্টার পাশাপাশি স্টেরয়েড গ্রহণ করেন। এই স্টেরয়েড শরীরের জন্য ভয়াবহতা ডেকে আনতে পারে। এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
চিকিৎসকরা কখনোই ব্যায়াম বাদ দিতে বলেন না। সবারই প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট ধরে অল্প অল্প করে ব্যায়াম করা উচিত, ঘাম ঝরানো প্রয়োজন। শরীরচর্চা করতে প্রচণ্ড কষ্ট অনুভব হলে শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। ব্যায়াম কখনোই মৃত্যু ঘটায় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বা জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া উচিত। খাবার খেয়ে অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করা প্রয়োজন, এর ফলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়।
এছাড়াও মানুষের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনে অন্ততপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো খুব জরুরি। ঘুম ভালো না হলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় না। ক্লান্ত শরীরকে জিম ওয়ার্ক আউটের মাধ্যমে আরও বেশি কষ্ট দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এবি