ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জয়েন্টের ব্যথার কার্যকরী ঔষধ 

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২ মার্চ ২০২৩

জয়েন্টের ব্যথার কার্যকরী ঔষধ 

জয়েন্টের ব্যথা

শুধু যে বৃদ্ধরাই জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন, তা কিন্তু নয়। যে কোনো বয়সের মানুষই আজকাল এই সমস্যায় ভুগচ্ছেন। বিভিন্ন কারণে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। যথাযথ ব্যায়ামের ঘাটতি, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ক্যালসিয়ামের অভাবে ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে আমরা সাধারণত ব্যথাকে তেমন গুরত্ব দিতে চাই না। পরে যখন পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যায় তখন ওষুধ খেতে হয়। তবে আগে থেকেই আপনি জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করতে পারেন। 

জেনে নিন উপায়গুলো-

নিয়মিত ব্যায়াম করন। প্রতিদিন ব্যায়াম জয়েন্টের ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে।  নিয়মিত ব্যায়াম আক্রান্ত জয়েন্টগুলোকে  রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ব্যথা কমিয়ে দেয়। এক্সারসাইজ করলে জয়েন্ট স্বাভাবিক নড়াচড়া, মাংসপেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের ব্যথামুক্ত রাখে। ব্যায়ামের পাশাপাশি খেলাধুলা, সাইকেলিং কিংবা সাঁতার কাটতে পারেন। এতে করে জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করতে পারবেন।

> উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। এজন্য সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবুজ সবজি  যেমন- ক্যপসিকাপ, টমেটো, সজিনা,হলুদ, মিষ্টিআলু, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি  ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়। 
> সকালে খালি পেটে রসুন খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জয়েন্টের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে বলে ব্যথা অনেকাংশে কম অনুভূত হয়।
> আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।
> এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে, আমরা অনেক রোগীর এম আর আই দেখতে পাই ডিক্সে পানিশূনর্তা। ডিক্সের পানিশূনর্তা ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।  

যে খাবারগুলো খাবেন না 

লবণ খাওয়া কমানো: 

জয়েন্টে ব্যথা থাকলে আপনাকে অবশ্যই লবণ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আর্থারাইটিস ফাউন্ডেশনের মতে, কম লবণ খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যাওয়ার পরিমাণ কমে। আর এর ফলে অস্টিওপরোসিস ও ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমে। লবণ খাওয়ার ফলে টিস্যুতে ফ্লুইড জমে ফুলে যেতে পারে যার ফলে জয়েন্টে ব্যথা হয়।

চিনি জাতীয় খাবার কম খাওয়া:

যারা জয়েন্ট পেইনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের খাদ্য তালিকা থেকে বেকারি আইটেম, কোমল পানীয়, মিষ্টি, বাজারের বোতলজাত জুস আর অন্যান্য যেসব খাবারে চিনি আছে তা বাদ দিতে হবে। সুগার লেভেল বেড়ে গেলে তা জয়েন্টের ব্যথাকে কয়েক গুণে বাড়িয়ে দেয়।  

প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার
মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ

 

এমএস

×