
একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়
এক গবেষণায় দেখা গেছে, বারবার বিভ্রান্তি এবং বিভিন্ন দিক থেকে চাপ আসার কারণে আমাদের কাজের গুণমান যেমন কমে, তেমনি বাড়ে মানসিক চাপও। এই পরিস্থিতিতে সমাধান হতে পারে মনোটাস্কিং।
মনোটাস্কিং কী: ‘মোনো’ শব্দের অর্থ এক। মনোটাস্কিং মানে হলো এক সময়ে একটিই কাজ করা। শুনতে সহজ মনে হলেও, এই অভ্যাস গড়ে তুলতে চাই সচেতন প্রচেষ্টা। এটা কেবল কাজ শেষ করা নয়, বরং মনোযোগ ফিরিয়ে এনে কাজ করার উপায়। মাল্টিটাস্কিং শব্দটির জন্ম মূলত ১৯৬০-এর দশকে, কম্পিউটারের একাধিক কাজ একসঙ্গে সম্পন্ন করার ক্ষমতা বোঝাতে। কিন্তু সেই ধারণা আজ মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও প্রবেশ করেছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে মানসিক চাপ, ক্লান্তি আর অপ্রতুল মনোযোগ।
কেন মনোটাস্কিং করবেন: প্রতিদিন আমাদের সামনে থাকে স্কুল, কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদ ও ব্যক্তিগত জীবনের তথ্যের পাহাড়। বিশেষ করে মিডিয়া মাল্টিটাস্কিং এখন সব বয়সী মানুষের সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যা সৃষ্টি করছে ‘কগনিটিভ ওভারলোড’ বা মানসিক বোঝা।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষ ছুটির সময়েও কাজের মধ্যে থাকেন। এর ফলে বিশ্রাম ও কর্মজীবনের মাঝে সীমারেখা হারিয়ে যায়। আর তা থেকে জন্ম নেয় স্থায়ী মানসিক চাপ ও বার্নআউট।
মনোটাস্কিং করলে যেসব উপকার হয়:
মানসিক চাপ হ্রাস
একাধিক দায়িত্বে চাপ কমে
সম্পর্ক উন্নত হয়
কাজের গুণমান বাড়ে
যেভাবে মনোটাস্কিং শুরু করবেন: আমরা সবাই ছোটবেলায় স্বাভাবিকভাবেই মনোটাস্কিং করতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নানা প্রযুক্তি আর কাজের চাপে তা হারিয়ে গেছে। ‘দ্য টুয়েলথ মনোটাস্কিং’ বইয়ে লেখক থ্যাচার ওয়াইন বলেছেন, মনোটাস্কিং-কে একটা পেশি বলা যায়, যেটা ধীরে ধীরে অভ্যাসের মাধ্যমে করতে হয়। পড়া, হাঁটা, খাওয়া, ঘুম, শেখা, তৈরি করা এসব কাজ মনোযোগ সহকারে করার মধ্য দিয়ে মনোটাস্কিং স্কিল বাড়ানো যায়। মনোটাস্কিং অনুশীলনের কিছু সহজ উপায়:
এই দ্রুতগতির সময়ে আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু করতে চাইলেও, বাস্তবতা হলোএকসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে আমরা একটি কাজও ঠিকমতো করতে পারছি না। মনোযোগ ছড়িয়ে পড়ছে, মানসিক চাপ বাড়ছে, আর কর্মদক্ষতা কমে যাচ্ছে। তাই ‘মনোটাস্কিং’-এর মতো কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোললে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
সূত্র: হেলথলাইন
তাসমিম