
দিনে ঘুমানো কি ভালো?
ঘুমের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো রাত। নিয়মিত রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠে কাজ শুরু করা ভালো অভ্যাস। তবে যদি কারও রাতের কাজ থাকে যেমন- অ্যাসাইনমেন্ট, পড়াশোনা, বা নাইট শিফট—তাহলে দিনের বেলায় ঘুমানো একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।
ভোরে উঠে দিনভর কাজের চাপে শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। তখন মস্তিষ্কের মনঃসংযোগ হ্রাস পায়, কাজের গতি কমে আসে। এমন পরিস্থিতিতে দুপুরের দিকে ২০-৩০ মিনিটের একটি ‘ন্যাপ’ বা হালকা ঘুম বেশ উপকারী হতে পারে। তবে এই ঘুম যেন এলোমেলো সময় নয়, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া ভালো।
দিনে বেশি ঘুম পেলে কী করবেন?
মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।
সকালে চা বা কফি পান করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, স্ট্রেচিং ও রোদে হাঁটাহাঁটি করুন।
ঘুমানোর ঘর রাখুন অন্ধকার, ঠান্ডা ও নিরিবিলি।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান ও ঘুম থেকে উঠুন।
রাতে গরম পানিতে গোসল ও ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপ ঘুমানোর আগেই বন্ধ করুন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন—দই, বাদাম, ফল, পানি খাওয়া জরুরি।
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন পরিহার করুন।
প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী রাতেই ঘুমানোর উপযুক্ত সময়। দিনের ঘুম সেই স্বাভাবিক ছন্দ ও হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। দীর্ঘ সময় রোদের সংস্পর্শে না গেলে হতে পারে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কেউ ১০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটান।
প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ঘুমের পরও যদি ক্লান্তি অনুভব করেন।
দিনে ঘুমানো একান্ত প্রয়োজন হলে, তা সীমিত ও নিয়মিত সময়ে হওয়া উচিত। কিন্তু এটি রাতের ঘুমের বিকল্প নয়। ঘুমের সমস্যা নিয়মিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
তাসমিম