ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাচ্চাদের ডায়াপার ব্যবহারের নিয়ম 

প্রকাশিত: ০২:৫৩, ১৭ মে ২০২৫

বাচ্চাদের ডায়াপার ব্যবহারের নিয়ম 

নবজাতকের ডায়াপার পরানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা সঠিকভাবে না করলে শিশুর ত্বকে সমস্যা হতে পারে বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে ডায়াপার পরালে শিশুর আরাম ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। নিচে ধাপে ধাপে ডায়াপার পরানোর নিয়ম তুলে ধরা হলো। 

পরিষ্কার এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করুনঃ ডায়াপার পরানোর আগে এমন একটি স্থান নির্বাচন করুন, যা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত। প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছে রাখুন, যেমন:

  • ডায়াপার
  • ওয়েট ওয়াইপস বা নরম তুলা
  • ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম
  • ডায়াপার ডাস্টবিন

১. শিশুকে সঠিক অবস্থানে রাখুন
প্রথমে শিশুকে একটি সমতল এবং নিরাপদ স্থানে চিত করে শুইয়ে রাখুন। নিশ্চিত করুন যে শিশুর মাথা এবং ঘাড় যথাযথভাবে সাপোর্ট পাচ্ছে। আপনি একটি ডায়াপার চেঞ্জিং ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন, যা আরামদায়ক এবং পরিষ্কার রাখা সহজ।
 
২. পুরনো ডায়াপার সরিয়ে ফেলুন
সাবধানে পুরনো ডায়াপার খুলুন। এটি খোলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন যাতে মল বা প্রস্রাব ছড়িয়ে না পড়ে। ডায়াপার সরিয়ে নেওয়ার পর একটি নরম ওয়েট ওয়াইপ বা তুলা দিয়ে শিশুর ত্বক পরিষ্কার করুন।

৩. শিশুর ত্বক পরিষ্কার করুন

শিশুর ত্বক পরিষ্কার করার সময় সামনে থেকে পিছনের দিকে মুছুন। বিশেষ করে মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।
 
৪. ত্বক শুকিয়ে নিন

পরিষ্কার করার পর শিশুর ত্বক ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। ভেজা অবস্থায় ডায়াপার পরানো উচিত নয়, কারণ এতে ত্বকে র‍্যাশ বা ইনফেকশন হতে পারে।

৫. প্রয়োজনে ক্রিম বা মলম ব্যবহার করুন

যদি শিশুর ত্বকে লালচে ভাব বা শুষ্কতা দেখা যায়, তবে ডায়াপার র‍্যাশ প্রতিরোধক ক্রিম, পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে শুষ্কতা এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।

৬. নতুন ডায়াপার পরান

নতুন ডায়াপার পরানোর সময় লক্ষ রাখুন যে এটি সঠিকভাবে ফিট হয়েছে কিনা।

কোমরের অংশ ভালোভাবে ফিট করা আছে কিনা দেখুন।

ডায়াপারের সাইড স্ট্র্যাপগুলো ঢিলেঢালা বা খুব টাইট নয়, তা নিশ্চিত করুন।

শিশুর পায়ের চারপাশে ডায়াপারের ফাঁকফোকর ঠিকঠাক সিল করা আছে কিনা তা চেক করুন।

৭. ডায়াপার পরিবর্তনের সময়সীমা মেনে চলুন

ডায়াপার নিয়মিত পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি। নবজাতকের ডায়াপার ২-৩ ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করা উচিত, এমনকি যদি এটি পুরোপুরি ভেজা না হয় তবুও। এটি শিশুর ত্বককে সুস্থ রাখবে।

৮. হাত পরিষ্কার করুন

ডায়াপার পরিবর্তনের পর এবং শিশুকে স্পর্শ করার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। এটি জীবাণু ছড়ানো রোধ ঙ্করবে।

সঠিক ডায়াপার নির্বাচন
নবজাতকের ত্বক অনেকটাই ফুলের পাপড়ির মতো কোমল এবং স্পর্শকাতর। তাই সঠিক ডায়াপার নির্বাচন তার আরাম এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো ডায়াপার শুধুমাত্র শিশুকে শুষ্ক এবং আরামদায়ক রাখে না, এটি ত্বকের র‍্যাশ বা অস্বস্তিও প্রতিরোধ করে।  

প্রথমেই সঠিক সাইজ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াপার যদি খুব ছোট হয়, তবে এটি শিশুর কোমর এবং উরুর ত্বকে চেপে বসতে পারে, যার ফলে ত্বকে লাল দাগ বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। আবার, ডায়াপার যদি বেশি বড় হয়, তাহলে তা ঠিকভাবে ফিট হবে না এবং প্রস্রাব বা মলের লিক হতে পারে। প্রতিটি ব্র্যান্ডের ডায়াপার সাইজ গাইড থাকে, যা শিশুর ওজন অনুযায়ী সাইজ নির্বাচন করতে সাহায্য করে। নবজাতকের দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারণে প্রতি দুই সপ্তাহে ওজন মেপে সঠিক সাইজ বেছে নেওয়া উচিত।

সজিব

×