
ছবিঃ সংগৃহীত
বয়স বাড়লে একা হয়ে পড়তে হয়, এই ধারণা এখন বদলানোর সময়। গবেষণা বলছে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মাঝে মাঝে একাকীত্ব অনুভব করেন। কিন্তু এর অনেকটাই আমাদের দৈনন্দিন কিছু ছোট ছোট অভ্যাস থেকে দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। তাই এই অভ্যাস যদি এখনই বাদ দেন, তাহলে জীবনের পরবর্তী অধ্যায়েও থাকবে অর্থবোধ আর আনন্দে ভরপুর দিন।
১) সবকাজেই পরে করা যাবে বলা
ঘন ঘন এই বাক্যটি বললে মানুষ ডাকতেই বন্ধ করে দেয়। স্পষ্টভাবে হ্যাঁ বা না বলুন। সময় না মিললে বিকল্প প্রস্তাব করুন।
২) পড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘরে বসে থাকা
বের হওয়ার সাহস কমে গেলে একাকীত্ব বাড়ে। সেফটি গিয়ার ব্যবহার করুন, ভারসাম্য অনুশীলন করুন—আত্মবিশ্বাসে আসে সংযোগ।
৩) প্রযুক্তিকে এড়িয়ে চলা
ভিডিও কল বা গ্রুপ চ্যাট একা থাকা মানুষদের জন্য আশীর্বাদ। ধাপে ধাপে শেখার চেষ্টা করুন, কিংবা বিনামূল্যের কিছু ক্লাসে যোগ দিন।
৪) সারা দিন চুপচাপ বসে থাকা
সক্রিয় না থাকলে মন ও শরীর দুটোই দুর্বল হয়। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন।
৫) শুধু পরিবারের উপর নির্ভর করা
ছেলেমেয়েদের সময় সব সময় মেলে না। প্রতিবেশী, বন্ধু, হবি-গ্রুপ—সব মিলিয়ে পছন্দের পরিবার তৈরি করুন।
৬) পুরনো শখ ভুলে যাওয়া
শখ মানুষকে একত্র করে। আগের পছন্দের কাজগুলো আবার শুরু করুন, প্রয়োজনে একটু বদলে নিয়ে শুরু করুন।
৭) সারাদিন খারাপ খবর দেখা
খবরের পিছনে ছুটতে গিয়ে হতাশা বাড়ে। সময় নির্ধারণ করে সংবাদ দেখুন, আর খানিকটা ভালোবাসার গান বা হাসির অনুষ্ঠান রাখুন।
৮) পোষা প্রাণীকে ঝামেলা ভাবা
একটা প্রাণী যত্ন নেওয়া মানে দৈনন্দিন রুটিন ও সঙ্গ। না পারলে বন্ধুর পোষা প্রাণী সামলে দিন, কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক হন।
৯) মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেওয়া
দুঃখ, একাকীত্ব চেপে রাখলে সম্পর্কগুলো আরও দুর্বল হয়। কাউন্সেলর বা বন্ধুর সাথে কথা বলুন। এটা দুর্বলতা নয়, আত্মসম্মানের পরিচয়।
একাকীত্ব হুট করে আসে না, ছোট ছোট অভ্যাস না বদলাতে পারলে একাকীত্ব আসে। ঠিকভাবে যত্ন নিলে সঙ্গ, হাসি আর সম্পর্ক একসঙ্গে গড়ে উঠবে, তখন বয়স যতই হোক না কেন।
সূত্রঃ গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
আরশি