
ছবি: সংগৃহীত
ভেতরে ভেতরে কষ্ট পাওয়া মানুষেরা তাদের আবেগ ও অনুভূতি লুকানোর চেষ্টা করে। মনোবিজ্ঞানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এমন অনেক লক্ষণ আছে যা দেখে বোঝা যায় কেউ মনের গভীরে ব্যথা লুকিয়ে রেখেছেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই ধরনের মানুষের ১০টি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, যা আমাদের চারপাশের সম্পর্ক ও সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
১. সবসময় হাসি মুখে থাকা
এই ব্যক্তিরা সাধারণত সব পরিস্থিতিতে হাসিখুশি থাকার ভান করেন। তবে তাদের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকে কষ্টের সুর।
২. সবার প্রয়োজন আগে রাখা
তারা নিজেদের চেয়ে অন্যের প্রয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দেন। কিন্তু এর মাধ্যমে নিজের আবেগ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।
৩. একাকিত্বে স্বস্তি
যারা মনের কষ্ট লুকিয়ে রাখেন, তারা অনেক সময় একা থাকতে পছন্দ করেন। এতে তারা নিজের আবেগের সঙ্গে লড়াই করেন।
৪. নিখুঁত হতে চাওয়া
এরা নিজেদের ওপর বাড়তি চাপ দেন নিখুঁত হওয়ার জন্য। এর ফলে তাদের ভেতরের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
৫. অতীত ভুলতে না পারা
কষ্টের স্মৃতি ভুলতে না পেরে তারা এগিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন। অতীতের বিষয়গুলো তাদের মনে চাপে রাখে।
৬. সহানুভূতির প্রবণতা
যারা নিজেরা কষ্টে থাকেন, তারা অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। অন্যের দুঃখ তাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
৭. অতিরিক্ত ক্ষমা করার মানসিকতা
নিজেদের ভুলের জন্য তারা অতি ক্ষমাশীল হয়ে ওঠেন, যা তাদের ভেতরের কষ্টকে আরও জটিল করে তোলে।
৮. অবসন্ন অনুভূতি
মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার কারণে তারা প্রায়ই ক্লান্তি অনুভব করেন। এই ক্লান্তি কেবল শারীরিক নয়, মানসিকও।
৯. নিজের কথা না বলা
তারা নিজেদের অনুভূতি ও মনের কথা সহজে প্রকাশ করতে চান না। এতে তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
১০. ছোট বিষয়ে আনন্দ খোঁজা
তাদের জীবনের ছোট্ট আনন্দের মুহূর্তগুলোই কষ্টের মাঝে আশার আলো দেখায়।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের কথা শোনা জরুরি। আন্তরিকতা ও সহানুভূতির মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
এ ধরনের লক্ষণগুলো সবার কাছে স্পষ্ট নাও হতে পারে। তবে আমরা যদি সচেতন থাকি এবং আমাদের চারপাশের মানুষদের প্রতি সংবেদনশীল হই, তাহলে আমরা তাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারি।
তাবিব