ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

কিডনি রোগীদের যে ১০ খাবার নিষেধ

প্রকাশিত: ২২:২৩, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কিডনি রোগীদের যে ১০ খাবার নিষেধ

ছবি: সংগৃহীত।

কিডনি রোগ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি সঠিকভাবে বের করতে পারে না, যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি রোগীদের জন্য কিছু খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে এবং তাদের এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এখানে তুলে ধরা হলো কিডনি রোগীদের জন্য ১০টি নিষেধাজ্ঞাপূর্ণ খাবার।

১. লবণ

কিডনি রোগীদের জন্য লবণ অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে, কারণ এটি শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম জমা করে এবং রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী।

২. প্রক্রিয়াজাত খাবার

প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং ফ্যাট থাকে, যা কিডনির কার্যক্ষমতা কমাতে পারে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

৩. কোল্ড ড্রিঙ্কস

কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য সুগারযুক্ত পানীয় কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে, কারণ এসব পানীয়তে উচ্চ পরিমাণ চিনির পাশাপাশি কৃত্রিম উপাদান থাকে।

৪. পনির

পনিরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস এবং সোডিয়াম থাকে, যা কিডনি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষত যারা কিডনি ডিসফাংশনে ভুগছেন।

৫. শুকনো ফল

শুকনো ফল, বিশেষত যেগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে, কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলতে পারে এবং রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।

৬. মাংস ও মাছ

প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে এবং কিডনি ফিল্টারিং ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষত যখন কিডনি কিছুটা অসুস্থ থাকে।

৭. টমেটো

টমেটোতে উচ্চ পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে যদি কিডনি ঠিকমতো কাজ না করে।

৮. মিষ্টি ও ডেজার্ট

মিষ্টি এবং ডেজার্টগুলোতে উচ্চ পরিমাণে চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করা বাড়িয়ে কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৯. আলু

আলুর মধ্যে পটাসিয়াম ও ফসফরাসের উচ্চ পরিমাণ থাকে, যা কিডনি রোগীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

১০. কফি ও চা

কফি এবং চায়ে ক্যাফেইন থাকে, যা শরীরে পানির অভাব সৃষ্টি করতে পারে এবং কিডনির জন্য চাপ তৈরি করতে পারে।

এই খাবারগুলো থেকে কিডনি রোগীদের বিরত থাকা উচিত, তবে রোগীদের খাদ্য তালিকা ও ডায়েটের ব্যাপারে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নুসরাত

×