ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

বিবিসিকে কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদের বাসিন্দা

‘বাচ্চারা কাঁদছে, নারীরা দৌড়াচ্ছে, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম’

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ৭ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:৪৮, ৭ মে ২০২৫

‘বাচ্চারা কাঁদছে, নারীরা দৌড়াচ্ছে, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম’

ছবি: সংগৃহীত

‘বাচ্চারা কাঁদছে, নারীরা দৌড়াচ্ছে, সবাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মানুষ ঘরবাড়ি ফেলে পালাতে শুরু করে। চারদিকে ছিল অজানা এক অনিশ্চয়তা’, মুজাফ্ফরাবাদে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিজ্ঞতা জানাতে বলেন স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়াহিদ।

মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে পরপর একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শহর। ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

বিস্ফোরণের অন্যতম সম্ভাব্য লক্ষ্য শহরের বিলাল মসজিদের পাশেই বসবাস করেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি তখন ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রথম বিস্ফোরণের শব্দে আমার ঘর কেঁপে ওঠে। ভয়ে আমি দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি আশপাশের সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। তখনও বুঝে উঠতে পারিনি কী হচ্ছে। এরই মধ্যে আরও কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে, পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’

বিস্ফোরণে অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হন, যাদের ২৫ কিলোমিটার দূরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ‘একটি মসজিদ কীভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে’ প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, ‘এটা তো সাধারণ একটি মসজিদ ছিল, যেখানে আমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তাম। আমরা এই মসজিদ ঘিরে কখনো সন্দেহজনক কিছু দেখি নাই।’

 

সূত্র: বিবিসি

রাকিব

×