
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করলে ভারত খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, “যদি যুদ্ধ শুরু হয়, ভারত শেষ হয়ে যাবে। ভারত এ যুদ্ধ থেকে মুক্তি পাবে না। পাকিস্তানও ছাড়বে না, চীনও না। এ যুদ্ধে ভারত চারদিক থেকে চাপে পড়বে।”
তিনি জানান, ভারতের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ইতিমধ্যেই অস্থিতিশীল। কাশ্মীর, খালিস্তান এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের 'সেভেন সিস্টার্স' অঞ্চলে চলমান বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা নিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী শান্তিতে ঘুমোতে পারে না।
“ভারতের বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে লড়াই করার মতো সক্ষম না। সীমান্তে চীনের উপস্থিতি, লাদাখ ও অরুণাচলে চাপ এবং অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ—সব মিলিয়ে যুদ্ধ শুরু হলে ভারতের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হবে,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বলেন, “আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি। আমাদের সামান্য সংখ্যার সংখ্যালঘু জনগণও আমাদের গর্ব। আমরা সবাই একসাথে আছি, পার্থক্য করি না।”
তিনি বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মারমা সম্প্রদায়ের একজন সদস্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এই দেশ সকল জাতিগোষ্ঠীর সম্মিলিত অবদানেই এগিয়ে যাচ্ছে।”
বিগত কিছু সীমান্ত সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বড়ইবাড়ির ঘটনা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য একটি চেতনার উৎস হতে পারে। সীমান্তে আমাদের বিজয় দেখিয়েছে, সাহস এবং কৌশল থাকলে ছোট সংখ্যার বাহিনীও বড় শক্তিকে পরাজিত করতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “বিএসএফ প্রতিশোধ নিতে এসে আমাদের মাত্র ১০-১২ জন বিডিআরের সঙ্গে লড়াই করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে। যদিও সরকারি হিসেব বলছে ১৭-১৮ জন বিএসএফ নিহত, বাস্তবে সংখ্যাটা আরও বেশি।”
আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, এই বিজয়ে অংশ নেওয়া বিডিআর সদস্যরা কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিধাবাদী আচরণের সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি— উভয় দলে এমন কিছু লোক আছে যারা ভারতের অনুগত্যে বিশ্বাসী। তারা আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত এখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। রাজনৈতিক আধিপত্য ধরে রাখতে চাইলেও সামরিকভাবে তাদের প্রস্তুতি নেই। যদি যুদ্ধ শুরু হয়, ভারত টিকতে পারবে না। এই যুদ্ধ তার জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে।”
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/9t8Z7lucHLY?si=sJjX1oSzVozRvFgd