
জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার
জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং ফ্যাসিস্ট আমলে ছাত্রশিবিরসহ সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের নয়টি জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, সাতক্ষীরা, যশোর, বগুড়া, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত এসব মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সংঘটিত একাধিক গণহত্যার বিচার আজও দৃশ্যমান নয়; অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত পর্যন্ত হয়নি। সম্প্রতি দিবালোকের মতো স্পষ্ট জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক।
ফ্যাসিবাদের পতনের পরও মজলুম জননেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামের কারাবন্দিত্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বক্তারা অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলে দায়েরকৃত ছাত্রশিবিরসহ সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। ছাত্রশিবির ঘোষিত তিন সপ্তাহের আল্টিমেটাম স্মরণ করিয়ে বক্তারা সকল মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
কুমিল্লা-ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি হাসান আহমেদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান। বিকেল ৪টায় টমছম ব্রিজ থেকে মিছিল শুরু হয়ে কান্দিরপাড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ সভাপতি মহিউদ্দিন রনি ও জেলা উত্তর সভাপতি সানাউল্লাহ রাসেলসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
নোয়াখালী ॥ নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমানের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা। বিকেল ৪টায় জেলা জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে সুপার মার্কেটে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আরিফুল ইসলাম, জেলা দক্ষিণ সভাপতি সাইফুর রসুল ফুয়াদ ও জেলা উত্তর সভাপতি দাউদ ইসলাম।
কক্সবাজার ॥ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম নুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির। দুপুর ২টায় নিউ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মীর মুহাম্মদ আবু তালহাসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
মৌলভীবাজার ॥ শহর সভাপতি তারেক আজিজের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকেল ৪টায় দেওয়ানী মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কুসুমবাগ এলাকায় গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন, শহর সেক্রেটারি কাজী দায়িয়ান আহমদ।
সাতক্ষীরা ॥ শহর সভাপতি আল মামুনের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকেল ৪টায় সঙ্গীতা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ আসিফ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি ইমামুল ইসলাম, শহর সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, জেলা সেক্রেটারি জুবায়ের হোসেন।
যশোর ॥ শহর সভাপতি আহমেদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে মিছিলটি দুপুর ২টায় জজ কোর্ট মোড় থেকে শুরু হয়ে মণিহার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পূর্বের সভাপতি আশিকুর রহমান, শহর সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ হুসাইন এবং জেলা পশ্চিম সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন।
বগুড়া ॥ শহর সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকেল ৩টায় আজিজুল হক কলেজ গেট থেকে শুরু হয়ে সাতমাথা মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পূর্বের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ, পশ্চিম সভাপতি সাইয়েদ কুতুব সাব্বির ও শহর সেক্রেটারি হাবিবুল্লাহ খন্দকার।
নীলফামারী ॥ শহর সভাপতি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকেল ৪টায় ট্র্যাফিক মোড় বড়বাজার থেকে শুরু হয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি তাজমুল হাসান সাগর, শহর সেক্রেটারি মাজেদুল ইসলাম ও জেলা সেক্রেটারি রেজাউল করিম।
পঞ্চগড় ॥ জেলা সভাপতি জুলফিকার রহমানের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকেল ৪টায় এম. আর. কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে শের-ই-বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি রাশেদ ইসলামসহ অন নেতৃবৃন্দ।