
ছবি: সংগৃহীত
ডামি রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে সারাদেশে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান খান, এনডিসির কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতায় রাষ্ট্রপতি পদে থাকা অবস্থায় আবদুল হামিদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, যা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
প্রতিনিধি দলে যারা ছিলেন: ১. মো. রাশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ ২. মনজুর মোরশেদ মামুন, সভাপতি, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ৩. মুনতাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ৪. সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ৫. শাকিলুজ্জামান, দপ্তর সমন্বয়ক, গণঅধিকার পরিষদ ৬. আবু হানিফ, সদস্য, উচ্চতর পরিষদ, গণঅধিকার পরিষদ ৭. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সদস্য, উচ্চতর পরিষদ, গণঅধিকার পরিষদ ৮. আবদুজ্জাহের, সদস্য, উচ্চতর পরিষদ, গণঅধিকার পরিষদ ৯. আব্দুর রহমান, সভাপতি, শ্রমিক অধিকার পরিষদ ১০. রাহুল ইসলাম, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ১১. সৈয়দ রাসেল মুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ১২. নেওয়াজ খান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ১৩. আবু মনসুর সাজু চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ
স্মারকলিপির মূল বক্তব্য: স্মারকলিপিতে বলা হয়, “ডামি রাষ্ট্রপতি, ফ্যাসিবাদের দোসর ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সরাসরি সহায়তায় তার পুত্র ও শ্যালককে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি, দায়ীদের শাস্তি ও রাষ্ট্রপতিকে ফিরিয়ে না আনা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।”
তারা আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ফলে জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণা জানানো হয়েছে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
আসিফ