
ছবি: সংগৃহীত।
আজকের ব্যস্ত জীবনে ক্লান্তি, পেট ফাঁপা আর অতিরিক্ত চর্বি আমাদের নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় ডায়েট কিংবা ওয়ার্কআউট করেও কাঙ্ক্ষিত ফল মেলে না, কারণ খাবার তালিকায় ভুল পছন্দ থেকেই যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, সঠিক খাবার বাছাই করলে শুধু ওজনই নয়, শরীরের ভিতরের ফোলাভাব আর অবসাদও দূর করা সম্ভব।
নিচে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এমন ১৬টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো নিয়মিত খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হবে, হজমের সমস্যা কমবে এবং আপনি ফিরে পাবেন চনমনে শরীর ও মন।
১. লেবু পানি
প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। লিভার পরিষ্কার করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে।
২. আদা
বমি বমি ভাব, পেটের গ্যাস এবং ইনফ্লেমেশন কমাতে কার্যকর। ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সতেজ রাখে।
৩. শসা
৯৫% পানি সমৃদ্ধ এই সবজি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ফোলাভাব কমায়।
৪. দই
প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।
৫. সবুজ চা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। মেটাবলিজম বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
৬. পেঁপে
এনজাইম প্যাপেইন হজমে সহায়তা করে, পেটের গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৭. অ্যাভোকাডো
হৃদয়ের জন্য উপকারী চর্বি সরবরাহ করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়।
৮. তরমুজ
প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিয়ে ফোলাভাব কমায়।
৯. কলা
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের সোডিয়াম ব্যালান্স করে ফোলাভাব হ্রাস করে।
১০. আলমন্ড (বাদাম)
প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর। দীর্ঘক্ষণ তৃপ্তি দেয়, বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
১১. লাল মরিচ/কাঁচা মরিচ
ক্যাপসেইসিন নামক উপাদান চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়া বাড়ায় এবং ক্ষুধা দমন করে।
১২. ব্রকোলি
ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অন্ত্র পরিষ্কার রাখে ও ফ্যাট হজমে সাহায্য করে।
১৩. লবণহীন বাদামি ভাত
সাদা ভাতের তুলনায় কম ক্যালোরি, বেশি ফাইবার – যা হজমে ভালো ও ওজন কমাতে সহায়ক।
১৪. লবণহীন স্যুপ (সবজি বা চিকেন বেইজড)
কম ক্যালোরি, কিন্তু পুষ্টিকর। ফোলাভাব কমায় ও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
১৫. মসুর ডাল
উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারের উৎস, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১৬. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
হজমে সহায়তা করে, ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেট ভরা অনুভূতি তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
এই খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত হাঁটা এবং ঘুম ঠিক রাখাও জরুরি।
সতর্কতা: যেকোনো খাবার নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নুসরাত