
ফেনীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সাক্ষাৎ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবং মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পেলেও স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মাঠ পর্যায়ে ফেনীবাসীর পক্ষ থেকে নানান কর্মসূচির মাধ্যমে জেলায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি উঠলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আজই প্রথম মন্ত্রণালয় পর্যায়ে মিটিং ও আবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার নিজে ফেনীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে রয়েছেন বলে জানান। বর্তমান সরকার নতুন করে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলে ফেনী অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে বলেও আশ্বস্ত করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
এ সময় ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের সহসভাপতি (মুখপাত্র) ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেফায়েত শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মু. আবিদুর রহমান আবেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মু. সাদিকুল ইসলাম দিদার ও সদস্য মু. রাউফু রাসুলুন (জ্যাতি) উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ফেনী জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ নানান উন্নয়ন প্রকল্প করা হলেও শুধু রাজনৈতিক কারণে যৌক্তিকতা থাকার পরও ফেনীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই ৫ আগস্টের পর থেকে ফেনীবাসী নানান মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন। এতদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মাঠ পর্যায়ের সভা সমাবেশে এই দাবি উঠলেও আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং লিখিত আবেদন জমা দিয়েছি। শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করছি সরকার আমাদের এই যৌক্তিক দাবি অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
নুসরাত