ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাইয়ের পরও যদি কিছু না বদলায়, তাহলে আর কিছুরই আশা থাকে না: আশীফ এন্তাজ রবি

প্রকাশিত: ০১:১৮, ৯ মে ২০২৫; আপডেট: ০১:১৯, ৯ মে ২০২৫

জুলাইয়ের পরও যদি কিছু না বদলায়, তাহলে আর কিছুরই আশা থাকে না: আশীফ এন্তাজ রবি

ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ের মতো এত বড় ঘটনার পরও যেহেতু দেশের কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেহেতু বলা যেতেই পারে, দেশের আর কোনো আশা নাই এমন মন্তব্য করে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্বচ্ছতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেখক ও বিশ্লেষক আশীফ এন্তাজ রবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে স্বচ্ছতার অভাবে দেশের নাগরিক জীবনে তৈরি হচ্ছে হতাশা, সন্দেহ এবং বিশ্বাসহীনতা।


রবি লেখেন, জুলাইয়ের পর আমরা একটা সভ্য দেশ চেয়েছিলাম। সভ্য দেশ মানে কি? যেই দেশে স্বচ্ছতা আছে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, সভ্যতার মানদণ্ড কেবল অবকাঠামো বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জবাবদিহিতা।


সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রবি। তিনি জানতে চান—“কেন গেলেন? কীভাবে গেলেন? কে তাকে যেতে দিলো?” একইভাবে আলোচিত নাট্যনির্মাতা ‘মায়ের ডাক’ খ্যাত তুলি আপার বাসায় পুলিশের উপস্থিতির ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “কেন হয়েছে? কে পুলিশকে পাঠালো? এরও কোনো উত্তর নাই।”

এই ‘উত্তর না থাকার সংস্কৃতি’কেই রবি অভিহিত করেছেন অস্বচ্ছতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে।


আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে—মানুষের গুম হয়ে যাওয়া, হঠাৎ বড় পদে নিয়োগ, বিতর্কিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া—এইসব বিষয়ের কোনো ব্যাখ্যা জনগণ পায়নি বলেও পোস্টে মন্তব্য করেন তিনি।

তার ভাষায়, কেউ কেউ গুম হয়ে যেতো, কেউ কেউ ক্রসফায়ারে যেতো, কেউ কেউ মন্ত্রী হতো… কেন হতো, কীভাবে এসব হতো—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কারো জানা ছিলো না।


রবি তাঁর পোস্টের শেষদিকে লেখেন, “কথাটা তিতা। কিন্তু এটাই বাস্তব। হা হা। 

 

এসএফ 

আরো পড়ুন  

×