ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী

চির নূতনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ

মনোয়ার হোসেন

প্রকাশিত: ০০:০৯, ৮ মে ২০২৫

চির নূতনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার বাঙালির জন্য বিশেষ বার্তাবহ দিন পঁচিশে বৈশাখ। কবিতার পঙ্ক্তিমালায় বলতে হয়Ñ মোর চিত্তমাঝে/চির নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ। সেই সুবাদে বাঙালির মননের সঙ্গী ও পথের দিশারি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। এমনই শুভক্ষণে জন্মেছিলেন কবি/পৃথিবীর বুকে সৃজন করেছিলেন সৃষ্টিশীলতার প্রতিচ্ছবিÑ এভাবেই বলা যায় বিশ্বকবির জন্মদিনে।

আর নিজের জন্মদিন নিয়ে কবির কবিতায় উচ্চারিত হয়- ওই মহামানব আসে/দিকে রোমাঞ্চ লাগে/মর্ত্যধূলির ঘাসে ঘাসে.../উদয় দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে/মোর চিত্ত মাঝে/চির নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ ...। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে ধরণীর বুকে রবির কিরণ ছড়িয়ে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মেছিলেন শিল্প-সাহিত্যের দেবশিশু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদা দেবী। তাঁর জন্মের ইংরেজি তারিখ ১৮৬১ সালের ৭ মে।
বিশ্বকবির জন্মদিন উদ্যাপন যেন বাঙালির আত্মপরিচয়ে দীপ্ত হওয়া এবং আগামীর পথচলার অনুপ্রেরণা সৃষ্টির এক অপরিমেয় উৎস। কৃতজ্ঞ জাতি তাই আজ গভীর শ্রদ্ধা-উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করবে প্রিয় কবির জন্মদিন। এবারের রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’। জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, খুলনার পতিসর ও নওগাঁর দক্ষিণডিহিতে কবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় সরকারি পর্যায় ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্্যাপন করবে। দৈনিক পত্রিকাগুলোয় প্রকাশিত হবে কবির জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদিত লেখাসহ প্রবন্ধ-নিবন্ধ। সরকারি-বেসরকারি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। 
বিস্ময়কর প্রতিভার বিচ্ছুরণে নিজেকে কবিগুরু থেকে বিশ্বকবিতে পরিণত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির চিন্তা-মনন-অনুভূতির এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে কবিগুরুর সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়া পড়েনি। সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের পথে ধাবিত করেছেন জাতির মননকে। বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতি বিনির্মাণের অগ্রপথিক এই কবি। তাই জন্মের দেড়শ’ বছর পরেও শিল্প-সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই দীপ্তিমান বিশ্বকবি। আজও তাঁর সৃষ্টিসমগ্র ভাবনার বীজ বুনে দেয় সাহিত্য ও শিল্পানুরাগীর হৃদয়ের গহিনে।

আর এই সৃষ্টি দিয়েই বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে জাতীয়তার গ-ি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতার সীমানায় পৌঁছে দিয়েছেন এই কবি। বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা  ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সঙ্কলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খ-ে রবীন্দ্র রচনাবলি নামে প্রকাশিত হয়েছে। বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর সাহিত্য। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাবগভীরতা, গীতিধর্মী চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাষা-ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদী ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সাহিত্যের সমান্তরালে বাংলা গানের ভুবনকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করেছেন রবীন্দ্রনাথ।

সেই সুবাদে বদলে যাওয়া সময়েও বিপুল ঐশ্বর্য নিয়ে টিকে আছে রবীন্দ্রসংগীত।  যত দিন যাচ্ছে ততই রবীন্দ্রসংগীতের বাণী ও সুরের ইন্দ্রজালে আবিষ্ট হচ্ছে বাঙালি। রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জাতীয় সংগীতেরও রচয়িতা তিনি।
অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন সমাজ ব্যবস্থার রূপকার রবীন্দ্রনাথ আজও বাঙালিকে দেখায় সঠিক পথের নিশানা। আজও বাঙালির সকল সংকট, আনন্দ-বেদনা ও পথচলায় তিনিই সহায়। রবীন্দ্র সংস্কৃতির বহু ধারা ও সৃজনে স্নাত হওয়ার মাঝেই দীপ্যমান বাঙালির অগ্রযাত্রা ও বিকশিত হওয়ার সাধনা। বাঙালির প্রত্যয়ী যাত্রাপথের সকল বাঁকেই রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি বিরাজমান।

বাঙালির প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণের সঙ্গে যেন মিশে আছেন তিনি। এ কথার সুর ধরেই বলতে হয়- আমার চোখে ঝলমলে দিন কিংবা নিকষ রাত/কেউ থাকে না সঙ্গে শুধুই আমার রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির সংস্কৃতি চর্চার অনন্য বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির গান, কবিতা, গল্প, নাটক, চিত্রকলা, বিজ্ঞানমনস্কতা,  লোকসাহিত্য চর্চা কিংবা ভাষাবিজ্ঞানÑসর্বত্রই তিনি বিরাজমান।  মহাসমুদ্রের মতো বিশাল ও বিস্তৃত পরিসরের সৃষ্টির আলোয় আলোকিত করেছেন বাঙালির মনন, চিন্তা-চেতনা ও ভাবনার ভুবনকে।

আর রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পরোক্ষভাবে রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। ব্রিটিশ আমলে নানাভাবে ভারতীয় মধ্যবিত্তের মাঝে জাগিয়ে তুলেছেন স্বাধীনতার স্পৃহা। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকা-ের প্রতিবাদ করেছেন সাংস্কৃতিকভাবে। প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইট উপাধি। বাঙালির অখ-তা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলনে। এমনকি তাঁর অসীম সৃষ্টি থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনতা।

সমাজকল্যাণে ব্রতী হয়ে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। গ্রামীণ মানুষের জীবন উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক। এসবের বাইরে সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয়  গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আর তাঁর দর্শন চেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে মানব কল্যাণের বাণী।
বঙ্গীয় শিল্প-সাহিত্যের আধুনিকীকরণে রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় রূপকল্পের দুর্বোধ্যতা ও কঠোরতাকে বর্জন করেন। নানা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে তাঁর উপন্যাস, ছোটগল্প, সংগীত, নৃত্যনাট্য ও প্রবন্ধ। কবিতায় এনেছেন নতুন মাত্রা, দিয়েছেন নবপ্রাণের ছোঁয়া। এ কারণেই কালের পরিক্রমায় উত্তীর্ণ বিশ্বনন্দিত সাহিত্যিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর বহু পরিচিত গ্রন্থগুলো হলো গীতাঞ্জলি, গোরা, ঘরে বাইরে, রক্তকরবী, মানসী, বলাকা, সোনার তরী, পূরবী, শেষের কবিতা ইত্যাদি।

কবিগুরুর কাব্য, ছোটগল্প ও উপন্যাস গীতিধর্মিতা, সহজবোধ্যতা, ধ্যানগম্ভীর প্রকৃতিবাদ ও দার্শনিক চিন্তাধারার জন্য প্রসিদ্ধ। বিশ্ববাসীর জন্য কবিগুরু উপহার দিয়ে গেছেন হৃদয়ে অনুরণন সৃষ্টিকারী কয়েক হাজার শ্রুতিমধুর গান। এভাবেই সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে সাহিত্য ও শিল্পানুরাগীদের সর্বোপরি বাঙালির হৃদয়ের গহিনে বেঁচে আছেন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর কবিতার চরণ ধরেই বলতে হয়Ñ
তুমি যে তুমিই, ওগো/সেই তব ঋণ/আমি মোর প্রেম দিয়ে/শুধি চিরদিন ...।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা: এ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উদ্যাপনের মূল আয়োজন কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বিশ্বকবির স্মৃতিধন্য নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগেও রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জন্মবার্ষিকী উদ্হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুঠিবাড়িতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্মারক বক্তৃতা করবেন গবেষক ও অধ্যাপক মনসুর মুসা। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার সকল সড়কদ্বীপ এবং সকল জেলায় বিশ্বকবির  ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশ্বকবির ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ও চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরে আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। 
অন্যান্য জেলায় জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় রবীন্দ্র গবেষক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধিজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্করবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের বৈদেশিক দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথভাবে উদ্করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে ৬০০ স্মরণিকা ও ২০ হাজার পোস্টার মুদ্রণ করা হবে।
ছায়ানটে রবীন্দ্র উৎসব ॥ রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট দুইদিন রবীন্দ্র উৎসবের আয়োজন করেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছায়ানট মিলনায়তনে প্রতিদিন অনুষ্ঠান আরম্ভ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। এ উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ ও আবৃত্তি। 
বাংলা একাডেমির আয়োজন ॥ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সভাগৃহে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৫ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। একক বক্তৃতা করবেন গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

×