ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেন বিএনপি নেতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০:৫০, ৮ মে ২০২৫

গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেন বিএনপি নেতা

ছবি: জনকন্ঠ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভূঞাপুর থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত তোতা মোল্লা উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ওই নারীর চাচাতো মামা শ্বশুর।

জানা গেছে, উপজেলার কুঠিবয়ড়া গ্রামে গেল শুক্রবার বিকেলে ওই নারী বাড়িতে একা রান্না করছিলেন। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা বিএনপির নেতা তোতা মোল্ল্যা বাড়িতে প্রবেশ করেন। পরে কথা বলার এক পর্যায়ে তাকে জড়িয়ে ধরে প্রথমে শ্লীলতাহানি ও পরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার হাত থেকে বাঁচার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ডাক-চিৎকার করেন। পরে লোকজন উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বিএনপির ওই নেতা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের পরই থেকেই মেয়ের বাবা ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে হামলা এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে ওই নেতা ও তার লোকজন। বন্ধ করে দিয়েছে মেয়ের বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পালিয়ে বেরাচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, স্বামী ঢাকায় কাজ করে। বাড়িতে শাশুড়ি আর আমিই থাকি। ঘটনার দিন শাশুড়ি তোতা মোল্লার বাড়িতে গিয়েছিল কাজে। সেই সুযোগে তোতা মামা বাড়িতে প্রবেশ করে কথা বলার এক পর্যায়ে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।

ওই নারীর শাশুড়ি জানান, বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় একা পেয়ে ছেলের বউয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন আমার চাচাতো ভাই। ভাগনের স্ত্রীর সঙ্গে কীভাবে মামা এমন আচরণ করতে পারেন। ঘটনার পরও বাড়িতে হামলা করেছে তারা। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায় না। অপরাধীর কঠোর বিচার চাই।

ওই নারীর বাবা জানায়, আপস না করায় কুঠিবয়ড়া বাজারের চায়ের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তারা বিএনপির বড় নেতা, এলাকায় প্রভাব বেশি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোতা মোল্ল্যা জানান, ঘটনার দিন রাতেই ঢাকায় গিয়েছিলাম। পরে শুনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তারপরও ঘটনাটি মীমাংসার জন্য বলা হলেও তারা বসেনি। তাই মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বাবার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলু জানান, ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি। তদন্তে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে দল থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভূঞাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

রবিউল

×