লিচু
বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। গ্রীষ্মকালীন এই রসালো ফল খুব কম সময়ের জন্য আসে। স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছেই একটি প্রিয় ফল। শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর লিচু। তবে, এই ফল খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অনেক ক্ষেত্রে এর অপকারিতাও রয়েছে; তাই খাওয়ার আগে এ সম্পর্কে অবশ্যই জেনে বুঝে খাওয়া উচিত।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক লিচু খেলে কি উপকার পাওয়া যায় এবং দিনে কয়টি লিচু খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মকালে এই ফল শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানির উৎস। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকার ফলে গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এই ফল।
লিচুর উপকারী দিকগুলো
শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে কাজ করে লিচু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
লিচুতে ভিটামিন, নানা খনিজ উপাদান রয়েছে, যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।
লিচুতে ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদান থাকায় এ ফল রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। এ ফলটির যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি বেশি খেলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন-
মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। লিচু ওজন বৃদ্ধি করে।
লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে। খালি পেটে লিচু খেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়।
তাই খেতে সুস্বাদু হলেও ইচ্ছেমতো লিচু খাওয়ার সুযোগ নেই। দিনে ১০-১২টি লিচু খাওয়া যেতে পারে। বয়স, শরীর, অসুস্থতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরিমিতভাবে লিচু বা যেকোনো ফল খেতে হবে।
শহিদ