ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে আয়োজিত হলো ‘রোড শো টু বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০২, ২৫ মে ২০২৩; আপডেট: ১৬:৪১, ২৭ মে ২০২৩

সিলেটে আয়োজিত হলো ‘রোড শো টু বাংলাদেশ’

ক্যাম্পেইন আয়োজন

মালয়েশিয়ার পর্যটনশিল্প প্রচারে সিলেটের অভিজাত হোটেলে "রোড শো টু বাংলাদেশ" শীর্ষক ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে ট্যুরিজম মালয়েশিয়া। পাশাপাশি তাদের শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা যাচাই করতেও আগ্রহীদের স্বাগতম জানিয়ে একটি প্রতিনিধি দল সিলেটে পৌঁছেছে। ট্রাভেল ট্রেড পার্টনারদের নিয়ে গঠিত এই দলে রয়েছে ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, এয়ারলাইন্স এবং মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিলের প্রতিনিধিসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সিলেটে ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মূলত বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার পর্যটনশিল্প প্রচারের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে অংশ নিচ্ছে ট্যুরিজম মালয়েশিয়া। এ উদ্দেশ্যে গত ২১মে-২৫মে পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে তাদের ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে।

ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রমোশনস ডিভিশন (এশিয়া ও আফ্রিকা) ডেপুটি ডিরেক্টর হাফিজ হাজিনের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার এক প্রতিনিধিদল ট্রাভেল ট্রেড পার্টনারদের নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, এয়ারলাইন্স এবং মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিলের প্রতিনিধিসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা।

অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এবং পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলাতে মালয়েশিয়া বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান এবং সেবা পণ্যগুলোকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে আরও বেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চিকিৎসা, শিক্ষামূলক এবং ইকোট্যুরিজমকেও প্রচার করতে সচেষ্ট।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাসনা হাসিম বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যের সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের। বাংলাদেশের মানুষকে বলতে চাই, মালিয়েশিয়া শুধুমাত্র সুন্দর একটি দেশই নয়, আমাদের রয়েছে উন্নত শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। আমি আহ্বান করছি এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশে আপনাদের ভ্রমণ করতে, যেন পর্যটনের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবারও নতুন সুযোগ উন্মুক্ত হয়।’

ট্যুরিজম মালয়েশিয়া মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংস্থা। এটি মালয়েশিয়াকে একটি পছন্দের পর্যটন গন্তব্য হিসাবে প্রচার করে চলেছে।

সংস্থার মহাপরিচালক ড. আম্মার আবদুল ঘাপার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই এই অঞ্চলে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করতে এবং পর্যটন খাতে যুক্তদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এ আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো- ভ্রমণকারীদের কাছে মালয়েশিয়ার চাহিদা বাড়ানো, এর পর্যটন পণ্যের অফার জানানো এবং বাংলাদেশি সহযোগীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা। পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলো বিজনেস-টু-বিজনেস সেশন, ভবিষ্যতে দেশটির পর্যটন খাতের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি পার করে ২০২২ সালে মালয়েশিয়া প্রায় ১১ কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটকের আগমন রেকর্ড করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০ হাজারই বাংলাদেশি। ২০২৩ সালের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ১৭ কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন ঘটবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বর্তমানে ই-ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন অনলাইনে করা যায়। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, বাটিক এয়ার, এয়ারএশিয়া, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকা ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সাপ্তাহিকভাবে ১১ হাজার ২৮৩টি আসন বিশিষ্ট ৫২টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে।

×