ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক পুরুষ মিথ্যা যৌতুক মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সহজে জামিন পাওয়া যায়—তা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন লিগাল সাপোর্ট বাংলাদেশ চ্যানেলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
সম্প্রতি তার কাছে আসা এক ক্লায়েন্টের ঘটনা তুলে ধরে তিনি জানান, উক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাইলেও, স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতে গড়ালে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এতে করে জামিন নেওয়ার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, “যৌতুক মামলায় জামিন নেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আপোষ সূত্রে জামিন নেওয়া। আদালতে উপস্থিত হয়ে যদি আসামি জানান যে তিনি আপোষ করতে চান, তাহলে আদালত সাধারণত সহজেই জামিন মঞ্জুর করে থাকেন।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, আপোষ দুইভাবে হতে পারে:
১. সংসার করার ভিত্তিতে আপোষ, যেখানে স্বামী জানান যে তিনি সংসার চালিয়ে যেতে চান।
২. আর্থিক ভিত্তিতে আপোষ, যেখানে দেনমোহর ও ভরণপোষণের টাকা পরিশোধ করে সমস্যার সমাধান করা হয়।
জামিন পাওয়ার পরবর্তী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট হোসেন বলেন, “আপনি যদি আদালতে সাবমিট করেন যে আপনি সংসার করতে চান এবং আপোষ করতে প্রস্তুত, তাহলে আদালত আপনার সদিচ্ছা বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করবে। যদি পরবর্তীতে আপোষ না হয়, তাহলে সেই জামিন স্থায়ী রূপ পেতে পারে।”
এছাড়াও তিনি জানান, কেউ চাইলে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও নিতে পারেন। তবে অনেকেই সরাসরি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপোষ সূত্রে জামিন নিচ্ছেন, যা আইনি দৃষ্টিতে কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য।
তিনি পরামর্শ দেন, “মিথ্যা মামলা হলে ভয় পাবেন না। প্রমাণ দিন যে আপনি কখনোই যৌতুক চাননি। সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে আপনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন এবং মামলাটি থেকে মুক্তি পাবেন।”
সকল ভুক্তভোগীকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বস্ত আইনজীবীর মাধ্যমে সঠিক আইনি পথে চললে সহজেই এই ধরনের মামলা মোকাবিলা করা সম্ভব।”
মারিয়া
