
ছবি: সংগৃহীত
গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ ফেলার নামে তাণ্ডব চলছে! ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত শনিবার (২৬ জুলাই) "মানবিক সহায়তা" আকারে একটি এয়ারড্রপ পরিচালনা করে, কিন্তু একটি ত্রাণ প্যালেট সোজা গিয়ে পড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের বসবাসের তাবুতে। এতে আহত হন অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি। মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করছে, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে এ ধরনের এয়ারড্রপ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার “ট্যাকটিক্যাল পজ” (সাময়িক যুদ্ধবিরতি) চালু করা হয়েছে মুওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটির কিছু অংশে।
তারা আরও বলছে, নিরাপদ রুট তৈরি করে ত্রাণ বিতরণ সহজ করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ত্রাণ কি সত্যিই মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে?
আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানাচ্ছেন, ত্রাণ প্যালেট অনেক সময় নির্জন এলাকায় বা ইসরায়েলি বাহিনীর ঘাঁটির আশপাশে পড়ে। ফলে অসহায় মানুষজনের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই ত্রাণ কার্যক্রম “প্রতারণাপূর্ণ, প্রতীকী এবং আন্তর্জাতিক চাপ এড়ানোর কৌশল।” তারা বলেছে এটি “মানবিক বিপর্যয়কে পরিচালিত করার একটি কৌশলী যুদ্ধনীতি।”
হামাস ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সরাসরি “গণহত্যা ও দমননীতির” জন্য দায়ী করেছে এবং এ ঘটনাগুলোকে “সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ” বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNRWA-এর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি বলেছেন, “এয়ারড্রপ খরচসাপেক্ষ, অকার্যকর এবং জীবনঘাতী হতে পারে।” অনেক আন্তর্জাতিক এনজিও বলছে এটি একটি মনোযোগ সরানোর কৌশল।
তারা সতর্ক করছে, “এভাবে ত্রাণ দিয়ে গাজার দু’কোটি মানুষের খাদ্যসংকট দূর করা সম্ভব নয়।”
ইউকে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জর্ডানের সঙ্গে মিলিতভাবে এয়ারড্রপ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমিরাতও জানিয়ে দিয়েছে যে তারা আবার শুরু করবে এ ধরনের ত্রাণ বিতরণ। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এভাবে খাদ্য পাঠানো কার্যকর নয়।
মুমু ২