
গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের সাহায্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা
গাজায় ইসরাইলকে এখনই যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডাসহ ২৫টি পশ্চিমা দেশের একটি দল। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে শত শত ফিলিস্তিনিকে অমানবিক হত্যাকাণ্ডর সমালোচনাও করেছে দেশগুলো।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড ইসরাইলের হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ইসরাইলি আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া সহায়তা নেওয়ার সময় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ৯৯ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজায় গত ৪৮ ঘণ্টায় অনাহারে ১২ শিশুসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টিতে ১০১ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৮০ জনই শিশু। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার পশ্চিমা দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক সাহায্য চাইতে গিয়ে নিহত হওয়ার বিষয়টি ভয়াবহ। নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সাইটের আশপাশে ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত এই সংস্থাটি জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি নেটওয়ার্ক থেকে গাজায় সাহায্য বিতরণের দায়িত্ব নিয়েছিল।
এই সংস্থাকে ঘিরে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল বলেও জানা গেছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং সাহায্য বিতরণের জন্য প্রায় ২০টি ইউরোপীয় দেশের পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড আহŸান জানিয়েছে। আহŸান জানানোর মধ্যে ইসরাইল এবং তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশও রয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিবৃতিটি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং এটি হামাসের কাছে ভুল বার্তা দেবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এটি হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং পরিস্থিতির জন্য হামাসের ভ‚মিকা ও দায়িত্ব স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এই বিবৃতিকে বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে ইসরাইলকে দোষারোপ করা অযৌক্তিক কারণ হামাস সবসময় যুদ্ধ শেষ করার প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। গাজায় ইসরাইলের বর্বর সামরিক অভিযানে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৫৯ হাজার ২৯ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্যানেল মজি