
স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২৩০ মিলিয়ন পাউন্ড পেলেন স্ত্রী
স্বামীর জোরজবরদস্তি ও মানসিক চাপ স্ত্রীর স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি লোপ করে। স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ২৩০ মিলিয়ন পাউন্ড (যুক্তরাজ্যের মুদ্রা) পেয়েছেন এক ধনকুবেরের স্ত্রী।
ডিভোর্স হওয়া ওই নারীর নাম গোপন রেখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ এটি। রায় দিয়ে দেশটির পারিবারি আদালত বলছে, স্বামীর জোরজবরদস্তি ও মানসিক চাপ স্ত্রীর স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি লোপ করে।
পারিবারিক আদালতের বিচারক কব রায়ে বলেন, ‘ওই ধনকুবের তার স্ত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে বিভিন্ন ভীতিকর কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন।’
রায়ে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে ওই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাহোত্তর চুক্তি হয়। ওই সময় স্বামী তার স্ত্রীকে বলছিলেন, চুক্তি মোতাবেক না চললে তার পরিবারকে দেউলিয়া করে দেবেন তিনি। এছাড়া স্ত্রীকে টেসকোর ক্যাশ কাউন্টারে কাজ করতে হবে বলে হুমকি দেন।
রায়ে বলা হয়, বিচ্ছেদের পর ওই নারী উদ্বেগ ও বিষণ্ণতায় ভুগেন। স্বামীর আচরণে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। বিচারক কব বলেন, ওই ধনকুবের ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর আইনজীবীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। যেন তার স্ত্রী আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন।
রায়ে বিচারক কব বলেন, ‘আমি যা পড়েছি ও শুনেছি তাতে আমি নিশ্চিত, ওই নারীকে অসুবিধাজনক অবস্থায় ফেলা হয়েছিল। আমি আরও নিশ্চিত যে স্বামী তাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন।
রায়ে আরও বলা হয়, এ দম্পতি খুবই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছিল। বিচ্ছেদের পর বিপুল পরিমাণে অর্থ পাওয়া নারী বলেন, ‘আমার পরিবার খুবই গরিব ছিল। এমনকি আমরা শূন্য থেকে উঠে এসেছিলাম, একদম জিরো থেকে।’
সম্প্রতি ডিভোর্স হওয়া এ দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। তারা বোর্ডিং স্কুলে থেকে লেখাপড়া করছে।
টেলিগ্রাফ বলছে, ২০১২ সালে ওই স্বামী একটি প্রযুক্তি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। আর এতেই সাফল্য পান তিনি। এ সাফল্যে তাদের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় দেড় বিলিয়ন পাউন্ড। ওই নারী বলেন, ‘এটি ছিল কল্পনার চেয়েও বেশি।’
রায়টিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে ওই নারীর আইনজীবী ক্লেয়ার গর্ডন বলেন, ‘পারিবারিক আদালত স্বীকার করেছে যে, দীর্ঘমেয়াদি ও অবিরাম মানসিক চাপ একটি সম্পর্ককে কতটা দুর্বল করে দিতে পারে।’
খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
তাসমিম