
স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কাতালোনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতির রুদ্র রূপ দেখছে পৃথিবী। বৈরী আবহাওয়ায় টালমাটাল গোটা বিশ্ব। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যখন বন্যা, বৃষ্টি আর ভূমিধসের সঙ্গে লড়াই করছে তখন ইউরোপ জ্বলছে তীব্র তাপপ্রবাহে, নিত্যদিন পারদের ওঠানামা তৈরি করছে নতুন নতুন রেকর্ড। দক্ষিণ ইউরোপে ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে একের পর এক দেশ। স্পেন, তুরস্ক ও গ্রিসের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। অন্যদিকে ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিধস ও বন্যা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৫১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২২ জন। খবর বিবিসি ও এনডিটিভির।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় উদ্ধারকারীরা অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে যান। এর আগে মঙ্গলবার মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় হিমাচলে। এতে ১৪টি সেতু, ১৪৮ বাড়ি এবং দুটি দোকান ভেসে যায়। ফলে বহু মানুষ হতাহত হয়, যার বেশিরভাগই মান্ডি জেলায়। ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা দুর্যোগের পর নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কমতে থাকে।
হিমাচলে যখন এই পরিস্থিতি তখন পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যা ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এক সপ্তাহে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১১৭ জন। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষÑ এনডিএমএ বলছে, বন্যা-বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশু। দেশটির সোয়াত উপত্যকায় দেখা দেওয়া আকস্মিক বন্যায় গত সপ্তাহে অন্তত ১৪ জন ভেসে গেছেন।
এ ছাড়া পাঞ্জাব প্রদেশে ভারি বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ধসে ও আকস্মিক বন্যায় আরও ২১ জন মারা গেছেন। যাদের ১১ জনই শিশু। পাশাপাশি সিন্ধু প্রদেশে ১৫ জন এবং বেলুচিস্তানে ৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে সময়ের আগেই ইউরোপে শুরু হয়েছে প্রচ- তাপপ্রবাহ। তুরস্ক, স্পেন ও গ্রিসে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। অপরদিকে তীব্র গরমের কারণে ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, পর্তুগাল ও জার্মানিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।