ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

মার্কিন সিনেট একমত, ১০ বছর ধরে রাজ্যগুলোর এআই নিয়ন্ত্রণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিল

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:১৭, ১ জুলাই ২০২৫

মার্কিন সিনেট একমত, ১০ বছর ধরে রাজ্যগুলোর এআই নিয়ন্ত্রণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিল

ছবি:সংগৃহীত

রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সিনেট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ব্যাপক কর ও ব্যয় বিল থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

সোমবার সিনেটররা ৯৯-১ ভোটে একটি সংশোধনী পাস করেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্য সরকারগুলো যেন আগামী ১০ বছর এআই নিয়ন্ত্রণে আইন করতে না পারে—এই বিধি বিল থেকে বাদ দেওয়া হয়। সংশোধনীটি উত্থাপন করেন রিপাবলিকান সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন।

এই সংশোধনী পাস হয় এক বিশেষ অধিবেশনে, যেটি “ভোট-আ-রামা” নামে পরিচিত। এই অধিবেশনে আইনপ্রণেতারা বিলের বিভিন্ন অংশে একাধিক সংশোধনী উত্থাপন করেন, যেগুলোর লক্ষ্য হলো ট্রাম্পের এই বিশাল বিলটিকে চূড়ান্তভাবে পাসের উপযোগী করা।

সিনেটর থম টিলিস ছিলেন একমাত্র আইনপ্রণেতা যিনি নিষেধাজ্ঞা রাখার পক্ষে ভোট দেন।

ট্রাম্পের মূল প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, রাজ্যগুলো যেন এআই সংক্রান্ত আইন না করে। তবে যারা করতো, তারা একটি নতুন ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল এআই অবকাঠামো তহবিল থেকে কোনো অর্থ পেত না।

অন্যদিকে গুগল ও ওপেনএআই-এর মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো চাইছিল কংগ্রেস যেন ফেডারেল সরকারকেই এআই নীতিমালা তৈরির একক ক্ষমতা দেয়। তাদের মতে, প্রতিটি রাজ্যের আলাদা আইন উদ্ভাবনী কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি করবে।

সোমবারের সংশোধনী ভোটের আগে, সেনেটর ব্ল্যাকবার্ন সিনেট কমার্স কমিটির চেয়ারম্যান টেড ক্রুজের সঙ্গে একটি আপোষমূলক ভাষা নিয়ে সম্মত হয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করার কথা ছিল এবং রাজ্যগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে যেমন শিল্পীদের কণ্ঠস্বর রক্ষা বা শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আইন করার সুযোগ দেওয়া হতো—যতক্ষণ না তা এআই-এর উপর “অতিরিক্ত বা অযথা বোঝা” সৃষ্টি করে।

তবে শেষ মুহূর্তে ব্ল্যাকবার্ন সেই আপোষ থেকে সরে আসেন এবং সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বাতিলের প্রস্তাব দেন, যা ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়।

এই সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলোকে এআই নিয়ে নিজেদের আইন ও নীতিমালা তৈরি করার স্বাধীনতা দিল, যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা ও উদ্ভাবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

 

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×