ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইরানের যে অস্ত্র দেখে ভয়ে কাঁপছে ইসরায়েল!

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২১ মে ২০২৫

ইরানের যে অস্ত্র দেখে ভয়ে কাঁপছে ইসরায়েল!

ছ‌বি: সংগৃহীত

ইরানের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়ে মিশনের লক্ষ্য পূরণ না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ভয়ঙ্কর সমরাস্ত্রের উপস্থিতি দেখে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় তেল আবিবের যুদ্ধ পরিকল্পনা। ফলে ইরানের রাজধানী তেহরানকে লক্ষ্য করে আবারও হামলা চালানো নিয়ে বারবার চিন্তায় পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যদিও ইসরায়েলের হাতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫, তারপরও ইরানে হামলা চালাতে পাইলটদের মধ্যে বিরাজ করছে অজানা ভয়। গত বছরের অক্টোবরে ‘অপারেশন ডে অফ ডিপেন্ডেন্স’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েল। এই অভিযানে তেহরানসহ কয়েকটি শহরে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর কাছে বর্তমানে এফ-১৫, এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ মডেলের প্রায় শতাধিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। তারপরও ইরানে নতুন করে হামলা চালানো নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে নেতানিয়াহুর সামরিক নেতৃত্ব। মার্কিন সংবাদ ম্যাগাজিন দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট–এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইরানের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘বাভার ৩৭৩’ দেখে কার্যত ঘাবড়ে গিয়েছেন ইসরায়েলের পাইলটরা।

রাশিয়ার এস-৪০০ এর আদলে তৈরি বাভার ৩৭৩ হচ্ছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত এক আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। ইসরায়েল এস-৩০০ ধ্বংস করতে সক্ষম হলেও বাভার ৩৭৩-এর মুখোমুখি হয়ে মাঝপথে মিশন বাতিল করতে হয় তাদের। এই সিস্টেমে যুক্ত রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাডার, যা এফ-৩৫ এর মতো স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেও সহজেই শনাক্ত করতে সক্ষম।

দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট জানায়, ইরানি বিজ্ঞানীরা একটি পরীক্ষায় ‘কারা’ নামের ড্রোন ব্যবহার করেন, যা এফ-৩৫ এর বৈশিষ্ট্য বহন করে। আশ্চর্যজনকভাবে ২৮০ কিলোমিটার দূর থেকেই এই ড্রোন শনাক্ত করতে সক্ষম হয় বাভার ৩৭৩। এমনকি যখন ড্রোনটি ১৮৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল, তখন তা ধ্বংসও করে দেয় ইরানের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=qFvVkprsv58

এম.কে.

×