
ছবি: প্রতীকী
একটি সুন্দর ঘুম আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁরা বিছানায় যাওয়ার পর ঘুম আসার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। এমনকি অকারণে চিন্তা বা প্রযুক্তিপণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের ঘুমের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু ঘরোয়া কৌশল অনুসরণ করলে সহজেই ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই এমনই কিছু কার্যকর পদ্ধতি।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত কফি, চা বা ক্যাফেইন গ্রহণ শরীরের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে এবং ঘুম বিলম্বিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সন্ধ্যার পর হালকা খাবার গ্রহণ এবং নরম পানীয় পান করলে শরীর সহজে ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়। এছাড়া ঘরের পরিবেশকেও ঘুমের উপযোগী করে তোলা জরুরি। এক্ষেত্রে হালকা আলো, শান্ত পরিবেশ এবং একটি আরামদায়ক বিছানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মনোবিদরা মনে করেন, ঘুমের আগে মোবাইল, কম্পিউটার বা টেলিভিশনের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা উচিত। এসব স্ক্রিনের নীল আলো মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে এবং ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন নিঃসরণে বাধা দেয়। বরং ঘুমের আগে কিছু হালকা বই পড়া, ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করলে মন শান্ত হয় ও দ্রুত ঘুম আসে।
এছাড়া শরীরে চাপ কমানোর জন্য গরম পানিতে গোসল করা বা কিছুক্ষণ পা ঘষে ম্যাসাজ করাও কার্যকর হতে পারে। অনেকে আবার ঘুমের আগে কিছু নির্দিষ্ট গান শোনেন যেগুলো মনকে শান্ত করে। ঘুমের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় কৌশল হলো “৪-৭-৮ শ্বাসপ্রশ্বাস পদ্ধতি”, যা ঘুম দ্রুত আনতে সহায়তা করে।
অভ্যন্তরীণ উদ্বেগ ও চিন্তাভাবনার জন্য অনেকেই সঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে নিজের মনকে ইতিবাচক চিন্তায় ব্যস্ত রাখা এবং প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলাও সহায়ক হতে পারে। রাতে নির্ধারিত সময়েই ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে শরীর এক ধরনের অভ্যস্ততা গড়ে তোলে, যা স্বাভাবিক ঘুম নিশ্চিত করে।
সবশেষে মনে রাখতে হবে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম মানে শুধু বিশ্রাম নয়, এটি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও পারফরম্যান্সের ভিত্তি। তাই কিছু ছোট পরিবর্তন এনে ঘুমের রুটিনে স্থিরতা আনুন এবং উপভোগ করুন সতেজ ও শক্তিময় একটি জীবন।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=UkkPQYrou4Y
এম.কে.