ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১

সিরিয়ার সংঘাত নিয়ে মাথা ঘামাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০০:১৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০১:০০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার সংঘাত নিয়ে মাথা ঘামাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যাথা নেই। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, “এই যুদ্ধ আমাদের নয়।”

বর্তমানে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পো, হামা, হোমস ও দারা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। একই সঙ্গে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে।

এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কিছু গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন লাভ করেছে, আবার তুরস্কের সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠীও রয়েছে। অন্যদিকে, বাশার আল আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে সমর্থন পাচ্ছে রাশিয়া ও ইরান। বর্তমানে সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।

সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করার পর, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দামেস্ক শহর ঘিরে আক্রমণ শুরুর দাবি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, রাশিয়া, ইরান, কাতার ও তুরস্ক সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, ৭ ডিসেম্বর ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম "ট্রুথ সোশ্যালে" সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “সিরিয়া একটি বিশৃঙ্খল রাষ্ট্র। এই দেশটি আমাদের বন্ধু নয়।” তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু করার নেই। এটা আমাদের লড়াই নয়। যা ঘটছে, ঘটুক। এর মধ্যে জড়ানোর দরকার নেই।”

এর আগে, ২৭ নভেম্বর হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে। এইচটিএস আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে গঠিত হয়েছিল। তাদের আক্রমণের ফলে, সরকারি বাহিনী কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে, এইচটিএস দ্রুতগতিতে অভিযান চালিয়ে আলেপ্পো শহর দখল করে নেয়। ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো, যখন লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। হিজবুল্লাহ আসাদের অন্যতম মিত্র হিসেবে পরিচিত।

উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো দখল করার পর বিদ্রোহীরা হামা শহরের দিকে অগ্রসর হয় এবং ৫ ডিসেম্বর তারা হামা দখল করে নেয়। এই শহরটির জনসংখ্যা দশ লাখেরও বেশি। শনিবার, হোমস ও দারা শহরের দখল নেওয়ার দাবি করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দারার দখল নেওয়ার ফলে, আসাদ সরকারের ক্ষমতা বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

নুসরাত

×