বাংলাদেশ নিয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরকে বারবার অতিরঞ্জন বলে আসছেন। এরই মধ্যে বিষয়টি আবারও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে পাওয়া খবরের (সংখ্যালঘুদের বিচার) ব্যাপারে দপ্তরের পক্ষ থেকে আবারও গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উর্দু ও হিন্দিভাষী মুখপাত্র মার্গারেট ম্যাকলিয়ড বলেন, আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, অঞ্চলের প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ তার অংশীজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের এ নেতাকে বেআইনিভাবে আটক করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কোনো আইনজীবী তার পাশে দাঁড়াননি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে যারা আটক রয়েছেন তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের বজায় রেখে আচরণ করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি এবং অব্যাহত জোর দিচ্ছি।
ব্রিফিংয়ে আরও জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, ব্রিটিশ এমপি ব্যারি গার্ডিনার ও প্রীতি প্যাটেল পার্লামেন্টে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগতভাবে এবং কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধানের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল তখন জানিয়েছিলেন, আমাদের প্রতিটি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সবার সম্মান থাকা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যে কোনো ধরনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। এমনকি কোনো ধরনের ক্র্যাকডাউনের বিষয়েও সরকারের আইনের শাসনকে সম্মান জানানো উচিত। এর অংশ হিসেবে মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে আসছি।
তাসমিম