ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ইসরাইলি হামলায়  গাজায় নিহত ৪৪,  লেবাননে ৩১ 

প্রকাশিত: ২২:০৫, ১০ নভেম্বর ২০২৪

ইসরাইলি হামলায়  গাজায় নিহত ৪৪,  লেবাননে ৩১ 

.

গাজায় এবং লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। রবিবার গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অপরদিকে লেবাননে নিহত হয়েছে ৩১ জন। দখলদার সেনাদের হামলায় লেবাননে ছয় উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরার।
এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং বিভিন্ন স্থানে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, এই হামলায় উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের একটি গুদামকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যা লোহিত সাগর ও অ্যাডেন উপসাগরে চলাচলকারী সামরিক-বেসামরিক জাহাজগুলোতে হামলার জন্য ব্যবহৃত হতো। শনিবার রাতভর সানা এবং উত্তরের আমরান প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। কাতার বলছে, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষগুলো নিষ্ঠুর এই যুদ্ধের অবসানে সদিচ্ছা ও গুরুত্ব না দেখাবে ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৩ হাজার ৫৫২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৫ জন। অপরদিকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর লেবাননেও সংঘাত শুরু হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৩৬ জন নিহত এবং আরও ১৩ হাজার ৯৭৯ জন আহত হয়েছে। 
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষতিকর প্রভাব শুধু পশ্চিম এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই বিষয়টি বিশ্বের জানা উচিত। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অনিরাপত্তা ও অস্থিতিশীলতা অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি তার চেয়েও বেশি দূরে যেতে পারে এর ক্ষতিকর প্রভাব। মধ্যপ্রাচ্যে এরই মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ গাজার মতোই লেবাননেও একইভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। তাছাড়া ইরান ও ইসরাইলের মধ্যেও এরই মধ্যে কয়েক দফায় সরাসরি হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। 

×